• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দুই কোচের প্রথম লড়াইয়ে শেষ হাসি সুজনের

প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসরের পর্দা নেমেছে শুক্রবার রাতে। ব্যাটে-বলে রাজত্ব করে শিরোপা ঘরে তুলেছে সাকিব আল হাসানের দল ঢাকা ডায়নামাইটস। আর সাকিবদের এই শিরোপা জয়ে গুরু সরোয়ার ইমরানকে হারিয়ে শেষ হাসি উঠেছে শিষ্য খালেদ মাহমুদ সুজনের মুখে। গুরু-শিষ্য ছাড়াও লড়াইটা ছিল দুই স্থানীয় কোচের মধ্যে। যা বিপিএলের ইতিহাসে এবারই প্রথম দেখা গেছে।

তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নাম হলেও বিদেশিদের অংশগ্রহণ ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি এই আসর যেন জমেই না। প্রতিটি দল সাজানোর পূর্বশর্ত হয়ে পড়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোর বিষয়টি। এর সাথে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে চলে বিদেশি হাই প্রোফাইল কোচ নেয়ার লড়াই। আগের কয়েক আসরে এমনই দেখা গেছে।

এবারও বিপিএলের কোচিং করাতে এসেছিলেন ডেভ হোয়াটমোর, স্টুয়ার্ট লয়ের মতো কোচরা। আগের আসরগুলোয় এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন ইয়ান পন্ট, গ্রাহাম ফোর্ডরাও। প্রথম দুবার তো বিদেশি ইয়ান পন্টের হাতেই উঠেছে বিপিএলের শিরোপা। কিন্তু এবার দেশি কোচদের জয়জয়কার। কোনো বিদেশি কোচের দল এবার বিপিএলের ফাইনালে উঠতে পারেনি।

বিপিএলের চতুর্থ আসরের ফাইনালে ওঠে ঢাকা ডায়নামাইটস ও রাজশাহী কিংস। এই দুই দলের কোচই স্থানীয়। বিপিএলে দুই স্থানীয় কোচের দ্বৈরথ এবারই প্রথম দেখা গেল। আগের তিনটি আসরের কোনোটিতেই দুই স্থানীয় কোচের মোকাবেলা দেখা যায়নি। ঢাকা ডায়নামাইটসকে পথ দেখানোর কাজটি করেছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। আর রাজশাহীর কোচের দায়িত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ কোচ সরোয়ার ইমরান।

লড়াইটি ছিল গুরু-শিষ্যেরও। সরোয়ার ইমরানের অধীনে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ যখন বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন তখন সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন সরোয়ার ইমরান। তখন পুরোদস্তর অলরাউন্ডারের ভূমিকায় ছিলেন সুজন।

দ্বিতীয় স্থানীয় কোচ হিসেবে বিপিএল শিরোপা জিতলেন খালেদ মাহমুদ। স্থানীয় কোচ হিসেবে শিরোপা জয়ের ধারাটা শুরু করে দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার তত্ত্বাবধানেই বিপিএলের তৃতীয় আসরে শিরোপা জেতেন মাশরাফিরা। এবার সেই ধারাটা ধরে রাখলেন খালেদ মাহমুদ।

এই দুই স্থানীয় কোচই একবার করে বিপিএল ফাইনাল হেরে এসেছেন। বিপিএলের প্রথম আসরে ফাইনালে ওঠে সরোয়ার ইমরানের দল বরিশাল বার্নার্স। কিন্তু সেবার ইয়ান পন্টের ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে হেরে যায় বরিশাল। খালেদ মাহমুদ ‍ সুজনের স্বপ্নভঙ্গও হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সে। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ফাইনালে ওঠে সুজনের তত্ত্বাবধানে থাকা চিটাগং কিংস। কিন্তু ইয়ান পন্টের দল ঢাকার কাছে হেরে রানারআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চিটাগংকে।

তৃতীয় আসরের ফাইনাল খেলা কুমিল্লা ও বরিশালের কোচ ছিলেন যথাক্রমে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও গ্রাহাম ফোর্ড। কিন্তু এবারই প্রথম চতুর্থ আসরে এসে ফাইনালে দেখা গেল দুই স্থানীয় কোচের লড়াই।