• ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সহোদর দুই ভাইসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০১৬

তাহিরপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যুবদল নেতা ওলিউর রহমান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন মহামান্য আদালত। রায়ে বাদাঘাট গ্রামের মইন মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া একই গ্রামের সহোদর মৃত প্রভাত রঞ্জন দে’র ছেলে প্রসেন চন্দ্র দে ও টুকন দে’কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত গতকাল মঙ্গলবার এই রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ নং বাদাঘাট ইউনিয়নের, বাদাঘাট গ্রামের সোহাগ মিয়ার চাচাতো ভাই যুবদল নেতা ওলিউর রহমানকে রাতের আধাঁরে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ওলিউর রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উপরোল্লিখিত টুকন ও প্রসেনের বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত ওলিউর রহমানের চাচাতো ভাই সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- (৭৩)তারিখ-২৫/০৭/২০১৩ ইং। পরে আদালতে মামলাটি জিআর ১১৮/২০১৩ইং নং হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষী প্রমান শেষে আদালত অভিযুক্ত সকলকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থ দন্ডের রায় দেন। উক্ত মামলায় কারাগারে দুুুুজন আসামী জেল হাজতে কারাবাস করলেও আসামী টুকন দে এখনো পলাতক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাদি সোহাগ মিয়া মৃত প্রভাত রঞ্জন দে’র রেখে যাওয়া ভু-সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য উপরোক্ত সহোদর আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে হয়রানী মুলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। বাধাঘাট এলাকায় সংখ্যালঘুদের অনেকের বাড়িঘর জোরপূর্বক দখল করেছে উক্ত সোহাগ মিয়া, সে স্হানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর ভগ্নীপতি। অথচ উক্ত সোহাগ মিয়া বি-এন-পির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার পরও তার এতই দাপট, কারণ সে আওয়ামীলীগ সাংসদের ভগ্নীপতি। তাই স্হানীয় জনগণ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।