স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কয়েদির হামলায় জেলার গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলার মাসুদ পারভেজ মঈনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কারাগারের মূল ফটকের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর কারাগারে বন্দীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারাগারের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কারাগার সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুদ পারভেজ মঈন প্রধান ফটকের কাছে ডেক্সে বসে বন্দীদের হিসেব করছিলেন। এ সময় একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী প্রমোদ চন্দ্র দাসও লাইনে বসা ছিল। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে ঐ কয়েদি কারাগারের প্রধান কারারক্ষী ও গোয়েন্দা প্রধান মাসুদ পারভেজ মঈনের মাথায় একটি লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন। সাথে সাথে অন্যান্য কারারক্ষীরা এগিয়ে এসে মাসুদ পারভেজ মঈনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে হাসপাতালের ১১নং ওয়ার্ডে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে বন্দী প্রমোদ চন্দ্র দাসকে কারাগারের সেলে রাখা হয়েছে। দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার নুর মোহাম্মদ সুহেল হামলাকারী প্রমোদ চন্দ্র দাসকে আসামী করে সিলেট কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হামলাকারী বন্দির বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়া এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কয়েদির হামলায় আহত জেলার মাসুদ পারভেজ মঈনের মাথায় ৭টি সেলাই দেওয়াা হয়েছে। তিনি জানান, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার একটি হত্যা মামলায় ঐ কয়েদির যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। ২০০৪ সালের ১৯ মে থেকে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। তার কয়েদী নম্বর হচ্ছে- ৯২০৪।
সিলেট কোতোয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার আজিম পাটোয়ারী জানান, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারের উপর হামলার ঘটনায় ডেপুটি জেলার নুর মোহাম্মদ সুহেল বাদি হয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী প্রমোদ চন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ কারাগারের ভেতরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।