স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অত্যাধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে উত্তর সরবরাহের একটি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে, ইশাদ ইমতিয়াজ হৃদয় ও আল আমিন। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
জালালাবাদ থানা পুলিশ জানায়, বগুড়ার ‘গুগল কোচিং সেন্টার’ নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টার কোচিংয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উত্তর সরবরাহের কাজ করে আসছে। ক্যালকুলেটারে মোবাইলের সিম ও বিশেষ ডিভাইস যুক্ত করে পরীক্ষার হলেই উত্তর সরবরাহের কাজ করত চক্রটি। গতকাল শাবির ভর্তি পরীক্ষায়ও এমন অভিনব প্রতারণার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। গোপন খবরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ এ চক্রের সদস্য ইশাদ ইমতিয়াজ হৃদয় ও আল আমিনকে আটক করে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে আরো ৬ পরীক্ষার্থীকে।
মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল হুদা আশরাফী বলেন, বগুড়ায় অবস্থিত এ কোচিং সেন্টারটির কর্মকর্তারা দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তর সরবরাহের কাজ করত। এজন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৫-৬ লাখ টাকা নিত চক্রটি। প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের কাছ থেকে ১৬ টি ক্যালকুলেটার ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চক্রের মূল হোতা ও গুগল কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবির ওরফে তুহিনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।