স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জিন্দাবাজারে প্রকাশ্যে কমার্স কলেজের এক ছাত্রকে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে কাস্টমস অফিসের সামনের রাস্তায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- মেজবাহ উদ্দিন (২২)। তিনি নগরীর কমার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের রহমত উল্ল¬ার পুত্র। বর্তমানে মেজবাহ নগরীর মজুমদারি শ্রাবণি কোনাপাড়া ৫৪ নং বাসায় স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছিল।
নিহত মেজবাহ পরিবারের একমাত্র ছেলে বলে জানান মেজবাহ’র বন্ধু মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী সাঈদ মাহবুব। এ ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেজবাহর বন্ধু রমজান (২২) নামের একজনকে আটক করেছে।
এদিকে, মেজবাহ ২০১৪ সালে নগরীর মিরের ময়দান এলাকার কমার্স কলেজে এইচএসসি পাস করার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ না পাওয়ায় সে আর পড়াশুনা চালিয়ে যায়নি। এরপর সে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে ওই সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মেজবাহ। এ সময় মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন অজ্ঞাতমানা যুবক এসে তার পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন মিসবাহ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেজবাহ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিন্দাবাজারের একটি দোকানে বসে মেজবাহ ও তার বন্ধু রমজান আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় তাদের বন্ধু কবীর মেজবাহর খোঁজ করে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কবীর তার সাথে থাকা দা দিয়ে মেজবাহর গলার বাম পাশে আঘাত করলে মেজবাহ লুটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মেজবাহকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারী কবীরের নগরীর কাজী ম্যানশনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহতের গলার বাম পাশের অংশ কাটা পড়ে গেলে অতিরিক্ত রক্ত করণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, প্রকাশ্যেই মেজবাহ উদ্দিনকে আততায়ীরা হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বন্ধু রমজানকে আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে রজমান পুলিশকে জানায়, কবীর তার সাথে থাকা দা দিয়ে মেজবাহর গলায় কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তবে কি কারনে হত্যা করা হয়েছে তার জন্য তাকে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।