• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ইসহাকপুর উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে অপপ্রচারের সত্যতা পাওয়া যায়নি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৯, ২০১৬

জগন্নাথপুর সংবাদদাতা :: জগন্নাথপুর উপজেলার স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে অপপ্রচারের সত্যতা পাওয়া যায়নি। শনিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরির্দশনে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলতের সাথে কথা বলেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মখলেছুর রহমান জানান, অতি সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার ফরমপূরনে ইসহাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক হারে ফি আদায়ের অভিযোগ উঠে। যার প্রেক্ষিতে সরেজমিনে বিদ্যালয় পরির্দশন করতে যাই। কিন্তুু এধরনের অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ইসহাকপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদরুল ইসলাম জানান, ১৯৮২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল শিক্ষার্থীদেরকে বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় আমরা বেতন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিশ্চিত করে পড়ালেখার মানোন্নয়নে কাজ করছি। কিন্তুু একটি কুচক্রি মহল বিদ্যালয় নিয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুজ জাহের জানান, ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় এবছর জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রেষ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ২৮টি স্কুল মিলে ১৫টি জিপিএ-৫ পায়। তার মধ্যে ইসহাকপুর স্কুল জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭টি। গত বছর একমাত্র আমাদের বিদ্যালয় থেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছিল। যা সম্ভব হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, এলাকাবাসি ও সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে।

শিক্ষানুরাগী ও প্রবাসী আকমল খান জানান, ১৯৮২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা বিদ্যালয়টিকে বিনা বেতনের অধ্যয়নের সুযোগ তৈরী করে দিয়ে তহবিল গঠন করেন। এখনোও প্রবাসীরা তাদের অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেন। এ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই।

কুচক্রীদের বিদ্যালয় পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন আনা, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সুহেল আহমদ, প্রাক্তন শিক্ষানুরাগী সদস্য শাহীন আহমদ, নজরুল ইসলাম সুমনসহ অনেক অভিভাবক বিদ্যালয় নিয়ে অপপ্রচারের নিন্দা জানান।