সিলেট সুরমা ডেস্ক ::::
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশবরেণ্য এই রাজনীতিক ইন্তে—কাল করেন। জাতীয় মর্যাদায় তাকে নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আলাদা বাণী দিয়েছেন। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা হাজী সরাফত আলী খান ও মা মজিরন বিবির চার সন্তানের মধ্যে ভাসানী ছিলেন দ্বিতীয়। বাল্যকালে তার ডাক নাম ছিল ‘চ্যাগা মিয়া’। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবা এবং ১০ বছর বয়সে মাকে হারান। কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা মওলানা ভাসানী আজীবন নিপীড়িত মানুষের পক্ষে রাজনীতি করেছেন।
১৯৩১ সালে সন্তোষের কাগমারীতে, ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলায় এবং ১৯৩৩ সালে গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন তিনি। ১৯৩৭ সালে মওলানা ভাসানী কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগদান করেন। পরবর্তী কালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের এবং পরে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনে অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ১৯৫৭ সালে ঐতিহাসিক কাগমারি সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। সে বছর ৯ মার্চ পল্টনের জনসভায় ‘স্বাধীন সার্বভৌম পূর্ব বাংলা’ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাতœক আন্দোলনের আহবান জানান। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ভারত যান এবং মুক্তিযুদ্ধকে সর্বদলীয় চরিত্র দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের আট সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটির তিনি ছিলেন সভাপতি। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ নির্মানের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ঐতিহাসিক লংমার্চে নেতৃত্ব দেন মওলানা ভাসানী। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মওলানা ভাসানী একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।