স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে দোবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান ভূমিন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ১০ জন সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন মঞ্জুর হলেও তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারের পর ১৪ নভেম্বর রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে আদালেতে হাজির করা হলে তার পক্ষের আইনজীবী পুনরায় সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে আদালত আগামী ৪ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন। মামলায় মোট সাক্ষী ১৪ জন। এরমধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এছাড়া আসামী আব্দুল হাই গতকাল আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে এ মামলায় জামিন আবেদন প্রার্থনা করলে তার জামিন না মঞ্জুর হয়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর গত ১০ আগষ্ট এ মামলার দুই আসামি রাগীব আলী ও ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই দিনই তারার দুজন পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান। তাদের অনুপস্থিতিতে চলে বিচার কার্য। গত ১২ নভেম্বর আবদুল হাই করিমগঞ্জ থেকে দেশে ফিরলে সিলেটের জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ১৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার উপস্থিতিতে মামলার সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করতে একটি আবেদন করলে গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করে পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রথম দফায় পুলিশ তদন্ত করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে। ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের রায় দেন। রায়ে ১৭টি নির্দেশনার মধ্যে এ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুনরায় তদন্ত করে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।