স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে দোবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান ভূমিন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ১০ জন সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষী দিতে আদালতে আবেদন করেছেন রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইয়ের পক্ষের আইনজীবীরা। সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এ মামলার বাদী সিলেটের তৎকালীন সহকারী ভূমি কমিশনার এস এম আবদুল কাদের ও রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোশারফ হোসেন রোববার সাক্ষ্য দেওয়ার পর এ আবেদন করেন। এ সময় আদালতে রাগীব আলীর ছেলে আসামী আব্দুল হাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান জানান, পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদনের শুনানির জন্য কাল মঙ্গলবার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রথম দফায় পুলিশ তদন্ত করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে। গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের রায় দেন। রায়ে ১৭টি নির্দেশনার মধ্যে এ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুনরায় তদন্ত করে রাগীব আলী ও ছেলে আবদুল হাইকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
১০ আগষ্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে ওই দিনই রাগীব আলী ও আবদুর হাই পালিয়ে ভারতে চলে যান। প্রায় তিন মাস পর গত শনিবার দুপুরে আবদুল হাই ভারতের করিমগঞ্জ থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ হয়ে ফিরলে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিন রাতে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। এ নিয়ে মামলার ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। মামলার বাদী এই বলে সাক্ষ্য দেন যে, তিনি সরকারি স্বার্থ রক্ষায় মামলা করেছেন। মামলায় বর্ণিত সকল অভিযোগের সত্যতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পেয়েছে বলে আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশী। বাদীর সাক্ষ্য দেওয়ার পর রেজিস্ট্রার অফিসের সার্ভেয়ার ভূমিসংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষ্য দেন।
দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইয়ের পক্ষের আইনজীবীরা আসামির উপস্থিতিতে সকল সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ (রিকল) আবেদন করেন। বিচারক এ আবেদনের শুনানির জন্য মঙ্গলবার তারিখ ধার্য করেন।