সিলেট সুরমা ডেস্ক :::: বাড্ডার গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন ওরফে রুবেল আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গেছেন। আজ রোববার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার পুলিশ কনস্টেবল কায়সার আহমেদ। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, আদালত থেকে রুবেল পালিয়ে গেছেন বলে তিনি জেনেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আদালত সূত্র জানায়, আজ রোববার এই আসামিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করানোর জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখান থেকে কৌশলে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আসামি রুবেল পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিরাস উদ্দিন বলেন, আদালত থেকে এক আসামি পালিয়ে গেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গারো তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি রুবেলকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানায় র্যাব। গত শুক্রবার রাজধানীর বিমানবন্দর চত্বরের রেলস্টেশনের সামনে থেকে র্যাবের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযানে রুবেলের কাছ থেকে মুঠোফোনের একটি সেট ও প্রায় সাড়ে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। র্যাব জানায়, এগুলো ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর হবু স্বামীর কাছ থেকে ছিনতাই করেছিলেন রুবেল।
র্যাবের ভাষ্যমতে, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ঢাকার একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন। তাঁর হবু স্বামী উত্তর বাড্ডা এলাকার পুরোনো থানা রোডে হাজি রুহুল আমিনের মেসে ভাড়া থাকতেন। গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে সেখানে হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান ওই তরুণী। এ সময় মেসের ব্যবস্থাপক হানিফ তাঁর হবু স্বামীকে বলেন, এখানে মেয়েদের আসা নিষেধ। এ সময় সালাউদ্দিন, আল আমিন ও রনি নামের মেসের কয়েকজন ভাড়াটে হানিফের সঙ্গে ছিলেন। মেসের ভাড়াটেরা স্থানীয় রুবেলকে ডেকে আনেন। পরে সালাউদ্দিন ও আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণীকে পাশের হাজি মোশারফ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন রুবেল।
এ ঘটনায় ওই তরুণী গত ২৮ অক্টোবর মামলা করেন। পরে পুলিশ সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। রুবেলের সহযোগী আল আমিনসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন