স্টাফ রিপোর্টার
শিক্ষামন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজেকে সিলেটবাসীর কাছে ঋণী দাবি করে বলেছেন, এই সিলেটের মানুষ আমাকে জন্ম দিয়েছেন, মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন, লেখাপড়া শিখিয়েছেন, রাজনীতি শিখিয়েছেন। আমার রাজনীতি জীবন শুরু হয় সিলেটের এমসি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায়। কিন্তু আজ আমি আপনাদের মাঝে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসাবে উপস্থিত হইনি। আজ আমি এসেছি একজন কর্মী হিসাবে। তাই আমি একজন কর্মী হিসাবে এমনভাবে কাজ করে যাবো যাতে বিশ্ববাসীর কাছে সিলেটবাসীর মুখ আরো উজ্জ্বল হয় এবং সম্মান বৃদ্ধি পায়। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অনুষ্টানে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হওয়ার পর বুধবার সিলেট এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। দুপুর পৌনে ২টায় বিমানযোগে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহ শরীফে জিয়ারত করেন তিনি। সেখান থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্টানে মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য যে ১৯৬৪ সালে প্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার পরিচয় হয়। তখন থেকে তাঁর জীবনের শেষ দিন অবধি আমি তাঁর স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন শুধু কথার কথা হিসাবে নয় বাস্তবেই এটি একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ২৭ টি দেশ থেকে অর্ধশত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা বলে গেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা শুধু বাংলাদেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে না সারা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অনুপ্রানিত করবেন। এদিকে, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় আগামী ২৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। তাছাড়া আজ বৃহস্পতিবার বিয়ানীবাজারে বিভিন্ন কর্মসূচীতে যোগ দেবেন শিক্ষামন্ত্রী এবং শুক্রবার দুপুরে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ত্যাগ করবেন।