সিলেট সুরমা ডেস্ক ::::::: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হামলায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত। তিনি বলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসির নগরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অতীতে যেমন মসজিদ, মাদ্রাসা, গির্জা মন্দিরে হামলার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন ছিল, এগুলোর উপরও তাদের সরাসরি ইন্ধন রয়েছে। হাছান মাহমুদ আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। হাছান মাহমুদ বলেন, নাসিরনগর হামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। সুতরাং বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর- এগুলো কারা করেছে সেটা দিবালোকের মতো সবার কছে পরিষ্কার। এগুলো হলো বিএনপি আর জামায়াতের কাজ। সংখ্যালঘু ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কেননা তাদের রাজনীতি হচ্ছে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। তাই বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনষ্ট করে বাংলাদেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত যদি সামনে আবার এ ধরনের হামলার চেষ্টা করে, তাহলে শুধু প্রশাসন নয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও জানান হাছান মাহমুদ। জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে যেমন জড়িত, তেমনি ৭ নভেম্বর হত্যাকান্ডের সঙ্গেও জড়িত। আর এ দিনটি হচ্ছে একটি কালো দিবস।