স্টাফ রিপোর্টার
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন সেনা সদস্য হয়েও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি প্রাণ পেয়েছিল। তিনি দেশের উন্নয়নকে রাজনীতির মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। গণতন্ত্র ও দেশের জনগণকে প্রাধান্য দিতেন। বিএনপির মূল শক্তি জনগণ। দেশের জনগণ শহীদ জিয়াকে সমর্থন দিয়েছেন। বর্তমান সরকারের কাছে জিয়া ও জিয়া পরিবার এক আতংকের নাম।
শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘খন্দকার আবদুল মালিক ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া স্মরণে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
খন্দকার আব্দুল মালিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের সভাপতিত্বে ড. মঈন খান আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য জিয়া রাজনীতি করেননি। তিনি দেশের জন্য রাজনীতি করেছেন। তার মধ্যে যে দেশপ্রেম ছিল, তা অনুকরণীয়। আওয়ামী লীগ যদি জিয়ার রাজনৈতি অনুসরণ করতো তবে দেশের অবস্থা আজ এমন হতো না। জিয়ার রাজনীতি ছিল উন্নয়নের রাজনীতি। সততা ও সরলতা ছিল তার জীবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি দেশের গ্রামিণ অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি হিসেবে গঠন করেছিলেন। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি রাখাল রাজা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। বিএনপি নিয়ে সমালোচনাকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা সরকারি সংগঠনের শক্তিকে নিজেদের রাজনীতিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করছেন। ‘সরকারি সংগঠনের শক্তি না দেখিয়ে আওয়ামী লীগ রাস্তায় নামলে সত্যিকারের রাজনীতি কি তা বুঝিয়ে দিবে বিএনপি।
ড. মঈন আরো বলেন, জিয়াউর রহমান যখন শহীদ হয়েছিলেন তখন আওয়ামী লীগসহ বিরোধীদল গুলো বলেছিল ৫-৭ দিন পর বিএনপির আর অস্তিত্ব থাকবে না। বর্তমানে জিয়াউর রহমানের ৩৫ বছর পেরিয়ে গেছে দেশের জনগণই শহীদ জিয়াকে আদর্শ মনে করে তাকে রাখাল রাজা হিসেবে পরিচিতি করেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানা ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৯৭২-৭৫ সালে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বলা হত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাসন আমলে সেই তলাবিহীন ঝুড়িতে এমন তলা লাগিয়েছিলেন, যাতে উপচে পরেছিল। বর্তমান সরকার শুধু হাজার হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট উন্নয়নের প্রসাধন লাগাচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দলীয় ষভার কারণে তিনি তিনি আসতে পারেননি। তিনি অনুষ্ঠান চলাকালিন টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন অলৌকিক পুরুষ। বাংলাদেশের প্রাণ। যার ছিল রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিচরণ। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সম্মিলতি পেশাজীবি পরিষদ-সিলেটের সভাপতি ডা. শামীমুর রহমান।
ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমদ ও সাবেক ছাত্রনেতা সিদ্দিকুর রহমান পাপলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীযয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল হক, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধরাণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমসহ ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।