স্টাফ রিপোর্টার ::: ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুরের প্রতিবাদে শুক্রবার সিলেটে আয়োজিত একটি বিক্ষোভ কর্মসূচী থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার স্থানীয় সাংসদ ও মন্ত্রী ছায়েদুল হক ঘটনাস্থলে না গিয়ে ‘তেমন কিছু না’ বলে মন্তব্য করেছেন। এরপর আক্রান্ত এবং আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো লোকদের নিয়ে তিনি তাচ্ছিল্যপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। অভিযুক্ত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আসকারা দিয়েছে। তার এসব কর্মকান্ডে উস্কানি পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবার হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বক্তারা মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি এঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ যে মূল্যবোধ ও চেতনায় সংগঠিত হয়েছিল স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর সেই চেতনায় যে কালো থাবা পড়েছে তা সম্মিলিতভাবে রুখতে হবে। বাঙালি জাতি অসাম্প্রায়িক বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রামের চেতনার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়দিনে সাম্প্রদায়িক হামলার মাধ্যমে যে তান্ডবলীলা চালানো হয়েছে তা দেশের বিবেকবান কোন মানুষ মেনে নিবে না।
মানববন্ধন চলাকালীন সময় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ব্যারিষ্টার মো. আরশ আলী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামূল কবির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সহ সভাপতি মোকাদ্দেস বাবুল, বাপা সিলেটের সাধারন সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু।
এছাড়াও সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক চম্পক সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল বাছিত শেরো, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব এনামূল মুনির, ডা. নাজরা চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মনির হেলাল, নিরঞ্জন দে যাদু, অনুপ কুমার দেব, সহ সভাপতি খুয়াজ রহিম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি কর্মী নীলাঞ্জন দাস টুকু, কাশমির রেজা, সুকান্ত গুপ্ত, নুরুল ইসলাম, ইন্দ্রানী সেন শম্পা, ইসমাইল হোসেন তপাদার, সুরাইয়া জামান, সাইফুর রহমান চৌধুরী সুমন, মোস্তাক আহমদ, বিপুল শর্ম্মা প্রমূখ।