সিলেট সুরমা ডেস্ক
জেল হত্যা দিবস স্মরণে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে প্রথমে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানান। পরে ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
পরে ক্যাপ্টেন (অব.) এম. মুনসুর আলীর সন্তান ও আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়য় বলেন, ৭ নভেম্বর বিএনপির বিপ্লব দিবস পালনের সমালোচনা করে বলেন, কিসের বিপ্লব দিবস? এটি হত্যা দিবস।
নাসিম আরও বলেন, জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আজীবন সহচর, মরণেও সহচর।
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিচার হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিচারে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।
এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি. এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।
কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি, গোলাম রাব্বানী চিনু, এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, মারুফা আখতার পপি প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ ভবন ছেড়ে গণভবনে গেলে সবার জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে শুরু হয় জেল হত্যা দিবসের কর্মসূচি।
সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থান ও রাজশাহীতে শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
বিকেলে খামার বাড়িতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।