স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ডাকাত সর্দার মইন উদ্দিন (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাহাপুর গ্রামের মৃত সিকান্দার আলীর ছেলে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর কালাপাথর মাঠ সংলগ্ন দলদলি চা বাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের মইন এর সাথে থাকা অন্যান্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সূত্রে সংবাদে খবর পেয়ে নগরীর বিমানবন্দর থানাধিন দলদলি চা-বাগান সংলগ্ন কালাপাথর মাঠ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্বদেন মহানগর গোয়েন্দা শাখার সহকারী পুলিশ কমিশনার জুবের আহমদ পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক জামশেদ আলম এবং পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুল আলম ।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল কালাপাথর মাঠ সংলগ্ন্ দলদলি চা-বাগানের দিকে দৌড়ে পলানোর চেষ্টা কালে অভিযানকারী দল ডাকাত সর্দার মইন উদ্দিনকে আটক করে। এসময় ডাকাত দলের ডাকাতি কাজে ব্যবহারের জন্য তাদের সাথে থাকা গ্রীল ভাঙ্গার ১৮ ইঞ্চি লম্বা নীল ও হলুদ রংয়ের একটি লোহার তৈরী কার্টার, দরজা ভাঙ্গার ৩ ফুট লম্বা একটি শাবল, ২ ফুট লম্বা এক মাথা বাঁকানো দরজা ভাঙ্গার একখন্ড লোহার রড, কাঠের বাটযুক্ত অনুমান ১ একটি ধারালো দা, প্লাস্টিকের বাটযুক্ত একটি স্টিলের ছোরা, যাহাতে ইংরেজিতে ণওঘএ এটঘঝ লিখা, কাঠের বাটযুক্ত একটি লোহার তৈরী ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। আটক ডাকাত মইন উদ্দিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কালাপাথর মাঠ সংলগ্ন বড় বাজার ও খাসদবীরের আবাসিক এলাকার বসতবাড়িতে ডাকাতি সংঘঠনের উদ্দেশ্যে তারা কালাপাথর মাঠে গৃহ ভাঙ্গার/কাটার সরঞ্জামাদি ও অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে রাত্রি গভীর হওয়ার অপেক্ষায় ছিল বলে স্বীকার করে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দেয়া তথ্যে আরো জানা গেছে, কালাপাথর মাঠ সংলগ্ন আম্বরখানা, খাসদবীর ও বড় বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি বসত বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। আটক ডাকাত মইন উদ্দিনসহ পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের সকলেই আন্তঃজেলা ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ডাকাতি-সহ দিনের বেলায় মোটরসাইকেল যোগে মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায় পরিকল্পিত ভাবে ছিনতাই করে থাকে। মইন উদ্দিনকে আটকের পর ছিনতাইয়ের স্বীকার বেশ কয়েকজন মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসে মইন উদ্দিনকে সনাক্ত করেছেন। মইন উদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও ডাকাতির ৮/১০ টি মামলা বর্তমানে বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন আছে। আটক মইন উদ্দিন সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় ডাকাতি সংঘটনের প্রস্তুতির মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো. গৌছুল হোসেন রিমান্ডের আবেদনসহ তাকে আদালতে সোপর্দ করেছেন।