দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজির আলী উরফে উজির আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অর্নারের মাধ্যমে চিরশায়ীত করা হয়েছে। রোববার বাদ এশা কদমতলী পঞ্চায়েতী জামে মসজিদে মরহুমের জানাযা নামায শেষে জাতীয় পতাকায় আবৃত করে মরহুমের প্রতি গার্ড অব অর্নার প্রদান করার পাশাপাশি ক’এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মোঃ মাহবুবুর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব রফিকুল হক,সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ,ডেপুটি কমান্ডার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালিক,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন উরফে গাজী মতিন,গুলজার খান, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সুলতান আহমদ,ছিফত আলী, কদমতলী এলাকার মুরব্বী আব্দুল কাদির লালু মিয়া, ব্যবসায়ী এম এ মন্নান, রাজনীতিবিদ হেলাল বকস্সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। গার্ড অব অর্নারের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজির আলী উরফে উজির আলীকে কদমতলী পঞ্চায়েতী কবরস্থানে দাফন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজির আলী রোববার বাদ যোহর দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ২ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজির আলী কদমতলী স্বর্ণশিখা ১৬৪ নং বাসার মৃত তাছির আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনির বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তাঁর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা উজির আলী ১৯৭১ সালে তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন, সেই সময় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ইপিআর থেকে বের হয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন, পরবর্তীতে তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (সাবেক বিডিআর)এর প্রাত্ত্বন সিপাহী ছিলেন, তিনির সিপাহী নং-১৮৮৮৮। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন -১০০৩/৪৭৯ নং এর গেজেট প্রদত্ত ৭৩৬৬ নং মুক্তিযোদ্ধা । ১৯৭১ সালে মাতৃভুমি রক্ষায় যুদ্ধে ঝাঁিপয়ে পড়েন তিনি। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।