স্টাফ রিপোর্টার
ওসমানীনগর তাজপুর মাটিহানী গ্রামের তাহির আলীর ছেলে সেলিম আহমদ সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনীত একই গ্রামের জুলি বেগমের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ১নং উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের দু বারের নির্বাচিত সদস্য সেলিম আহমদ। শনিবার আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে জুলির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পাওনা টাকা আত্মাসৎ করতেই জুলি বেগম তার স্বামীকে নিয়ে অনৈতিক একটি নাটক সাজিয়েছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম আহমদ বলেন, মাটিহানি গ্রামের মৃত আব্দুল মুতলিবের ছেলে দিলদার আলীর কাছে তিনি ৪৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছেন। দিলদার আলী তাকে সেই টাকা পরিশোধ করার জন্য ৯এপ্রিল রাত ৮টায় ফোন দিয়ে তার বাসায় আসতে বলে, তখন তিনি টাকা আনার উদ্দেশ্যে তার বাসায় পৌছামাত্র সে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করার পাশাপাশি তার উপর হামলা চালায় এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনার পর সালিশ বিচারে দিলদার আলী নিজের কৃতকর্মের দায় স্বীকারের পাশাপাশি টাকা পরিশোধসহ ভবিষৎতে তার কোন ক্ষতি করবেনা মর্মে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে। ঐ স্ট্যাম্পে জুলি বেগমের স্বাক্ষর রয়েছে। একই ষ্ট্যাম্পে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রকন আহমদ চৌধুরী, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ আলী, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলামসহ এলাকার মুরব্বীয়ানরা স্বাক্ষর করেন। সালিশ বিচারের পর বেশ কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও দিলদার আলী টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ-প্রচার চালাতে থাকে একই গ্রামের আফিজ আলীর ছেলে আক্তার হোসেনকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে দিলদার আলী। আক্তার হোসেন এলাকায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে তিনি এলাকার বিশিষ্ঠ ব্যক্তিগণের কাছে বিচার প্রার্থী হলে তারা আক্তারকে ১০ অক্টোবর ডেকে এনে প্রশ্ন করলে সে তার ভূল স্বীকার করে লিখিতভাবে ভবিষতে এ ধরণের অপ-প্রচার করবেনা বলে অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর করে।