দক্ষিণ সুরমা সংবাদদাতা
দক্ষিণ সুরমা মোমিনখলা এলাকায় গলায় গামছা পেচিয়ে হারুন মিয়া (৩০) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। মৃত হারুন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ঢেঙ্গা জজবাড়ি গ্রামের গৌরিপুর থানার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। সে মোমিনখলা এলাকার আমিন মিয়ার কলোনীতে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকত। পুলিশ ও নিহতের স্ত্রী হেলেনা বেগম জানায়, হারুন মিয়া পেশায় রিক্্রা চালক এবং সে মাদকাসক্ত ছিল। মাদকাসক্ত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হত। হেলেনা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। তারা মোমিনখলা এলাকায় আমিন মিয়ার কলোনীতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকলে হেলেনা বেগম তার স্বামীকে ঘুম থেকে তুলে নাস্তা দেন। হেলেনা বেগম কাজে যাবার আগে তার স্বামী তাকে সিগারেট এনে দিতে বলে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর তিনি প্রতিদিনের মত কাজে চলে যান। সকাল ১১টায় বাসায় ফিরে তিনি তার স্বামীকে বাসা আছেন দেখে আবার কাজে চলে যান। এসময় হারুন মিয়া তার ৪ বছরের মেয়েকে পাশের ঘরে টিভি দেখার পাটিয়ে দেন। এসময় সে ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘরের বাসের ধর্নার সাথে গামছা পেচিয়ে আতœহত্যা করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। আতœহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থালে ছুটে আসেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু ও টার্মিনাল ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রিপন দাস। পরে পুলিশ সুরোত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।
এব্যাপারে টার্মিনাল ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রিপন দাস জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা হচ্ছে আতœহত্যা হতে পারে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।