• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

১০ কোটি টাকার সম্পদ অরক্ষিত : আড়াই যুগেও আলোর মুখ দেখেনি দোয়ারার সাব-জেল

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০১৬

ছাতক সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাব-জেল আড়াই যুগেও আলোর মুখ দেখেনি। ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা দোয়ারাবাজার সাব-জেল এখন ছিন্নমুল মানুষের আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে। অযতেœ-অবহেলায় পড়ে রয়েছে সরকারের প্রায় ১০কোটি টাকার ভূ-সম্পদ। নির্মানের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও এখানের নির্মিত সাব-জেল ও সরকারি ভূমি কান রাষ্ট্রিয় বা সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছেনা। ফলে সাব-জেল ও জেল সংলগ্ন সরকারি মুল্যবান ভূমি দীর্ঘদিন ধরে অযতœ-অবহেলাও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জেল কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত কয়েকটি সরকারি কোয়ার্টার এখন ছিন্নমুল মানুষের স্থায়ী বাসস্থানে পরিনত হয়েছে।  জানা যায়, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এ সাব-জেল নির্মাণ করেন।  কালিউরি নদীর তীরে এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে নির্মিত সাব-জেল এখনো মানুষের নজর কাড়ে। দেড় একর ভূমির মধ্যে প্রায় ৮০ শতক জায়গা জুড়ে সাব-জেলের মুল অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। সু-উচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত দু’তলা সাব-জেলের প্রধান ফটকে রয়েছে লোহার ভারী দুটি গেইট। প্রাচীরের উভয়পাশে রয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের জন্য নির্মিত আবাসিক কোয়ার্টার। নির্মানের ৩০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও সাব-জেলের দেয়াল গুলোতে শেওলা জমে গেছে এবং আবাসিক কোয়ার্টারের দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে অনেক আগেই।  উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় প্রায় ১২ বছর আগে সাব-জেলে প্রধান ফটকের দু’তলায় স্থানান্তর করা হয়। ওই সময় থেকেই সাব-জেলের প্রধান ফটকে জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ন পরিবেশে সমাজসেবা অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।  বর্তমানে জেলের ভেতরের অংশ অনেকটা ভূতুড়ে নগরীর মতো।  প্রায় ১০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে যুগের পর যুগ। স্থানীয় প্রশাসন এ মুল্যবান সম্পদ ব্যবহার ও রক্ষায় কখনো কোন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ওই ভূ-সম্পদ এক সময় ভূমি খেকো প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাবার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। সীমান্তঘেঁষা অবহেলিত দোয়ারা উপজেলায় যে উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে এ সাব-জেল নির্মাণ করা হয়েছিল আদৌ কোনদিন কয়েদি, কারারক্ষী, জেলার ও জেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারনায় প্রাণচাঞ্চল্য ও মুখরিত হবে কিনা এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।