• ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঘাতক পিতা গ্রেফতার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৬, ২০১৬

ওসমানীনগর সংবাদদাতা
সিলেটের ওসমানীনগরে চাঞ্চল্যকর দুই সন্তান হত্যাকারী পলাতক ঘাতক পিতা ছাতিরকে জনতা আটক করে ওসমনাীনগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার চিন্তামনি দরগাবন্দ (চন্ডিতিওর) এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে জনতা ছাতিরকে আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘাতক ছাতির মিয়া তার দুই ছেলেকে যে স্থানে হত্যা করেছিল ঠিক তার অল্প দুরে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ক্ষেতের ধানের ভেতর থেকে বের হয়ে এলাকা ত্যাগ করছিল। এ সময় মন্তাজ আলী নামের এলাকার এক ব্যক্তি রাস্তায় ছাতিরকে পালিয়ে যেতে দেখে এলাকার লোকজনদের খবর দেন। পরে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে ছাতিরকে আটক করে ওসমানীনগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক পিতা ছাতির জানায় নিজ হাতে শলা দিয়ে মাথায় আঘাত করে রুজেল ও মামুনকে হত্যা করার দায় স্বীকার করে এবং প্রথমে ছোট ছেলে মামুন আহমদ পরে বড় ছেলে রুজেলকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন ওসমানীনগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী।  পারিবারিক কলহের কারণে নিজের দুই সন্তানকে ছাতির হত্যা করেছে বলে পুলিশ ও ছাতিরের স্ত্রী নুরমিন বেগম জানান। ছাতির তার দুই ছেলেকে হত্যার দায় স্বীকার করা বিষয়টি গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় সিলেটের পুলিশ সুপার মুনিরুজ্জান তার অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যম কর্মিদের নিশ্চিত করেছেন।  এ ঘটনায় দুই সন্তান হত্যায় স্বামী ছাতিরকে একমাত্র আসামি করে তার স্ত্রী নুরমিন বেগম গতকাল বুধবার দুপুরে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা (মামলা নং-১৬) দায়ের করেছেন। ওসমানীনগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেদের মা বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার জনাব মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা ও মিডিয়া অফিসার জনাব সুজ্ঞান চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) জনাব মো. আবুল হাসানাত, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) সার্কেল জনাব মো. আমিনুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ নুরুল আবছার খাঁন, ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মো. আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আনোয়ার উল ইসলামসহ সিলেট জেলা পুলিশের অফিসারবৃন্দ ও সিলেট জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে উপজেলার দয়ামীর ইউপির চিন্তামনি গ্রামের ছাতির মিয়া তার দুই চেলে রুজেল ও মামুনকে সাথে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী দরগাবন্দ এলাকায় মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার এক পর্যায়ে ছাতির তার দুই ছেলেকে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়।