• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জামালগঞ্জে জেলে কন্যাকে ধর্ষণ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২১, ২০১৬

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে সম্প্রতি পূজাঁমন্ডব থেকে বাড়ি ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া এক কিশোরী চেয়ারম্যানের ভাতিজা কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাঁটতেই আবারো দরিদ্র পরিবারের জেলের কিশোরী কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের হরিনাকান্দি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হলিনাকান্দি গ্রামের বড়গোষ্ঠী পরিবার খ্যাত রোজদার মিয়ার বখাটে ছেলে বাছিত মিয়া (২০)তার সহযোগি রুপা মিয়ার ছেলে জুয়েলের সহযোগিতায় গ্রামের এক আত্মীয়র বাড়ি যাবার পথে একই গ্রামের এক জেলের ১৫ বছরে কিশোরী কন্যাকে বৃহস্পতিবার রাতে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।  গ্রামের ঢাকায় থাকা একটি পরিবারের পতিত ঘরে ওই কিশোরিকে আটকিয়ে রেখে বাছিত কয়েক দফা ধর্ষণ করে। প্রায় ঘন্টা খানেক পর ওই কিশেরীকেও পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী খোঁজাখুজি করে অজ্ঞান অবস্থায় পতিত ঘর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে আইনি সহায়তা পেতে ২ ঘন্টায় হাওর পাড়ি দিয়ে রাত ১২টায় ভিকটিমকে নিয়ে থানায় পৌছেন। এদিকে রাতভর থানার বারান্দায় ভিকটিমকে নিয়ে পরিবার ও স্বজনরা বসে থাকার পরও থানার এক এসআই জেলে কন্যার অভিযোগ আমলেই নেননি উল্টো ওসি সাহেব ছুটিতে গেছেন বলে সকাল আটটায় তাদেরকে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় ভিকটিমের অভিভাবক জানান, থানায় গেলে রাতে কিছু লেখালেখি করে কিন্তু সকালে অফিসার কোথাও চলে গেছেন বলে আমাদের থানা থেকে  উল্টো বের করে দেয়া হয়। থানা থেকে বের করে দেয়ার পর উপজেলা সদরের এক রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানে জেলের পরিবারটিকে আশ্রয় দিয়ে তিনি নিজেও মর্মাহত অবস্থায় এ প্রতিনিধিকে বলেন, ভাই দেশে কী গরীবের জন্য আইনি সুবিধা পাবার কোন অধিকার নেই?। থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এসআই আবদুল ওয়াহিদ বলেন, ওই পরিবারের লোকজন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জয়নাল আবেদীনের সাথে আলাপ করেছেন, পরে কি হয়েছে তা আর জানতে পারিনি। এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জয়নালের সাথে সকাল সাড়ে ১০টায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ এসেছিলো সে কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে আলপচারিতায় এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করে , না—- না বিষয়টি ডিউটি অফিসার ড্রিল করেছেন , আমি তাদেরকে থানা থেকে বের করে দেইনি, এমনকি ওসি সাহেব ছুঁটিতে চলে গেছেন এ কথাও বলিনি।’ এরপর কয়েক দফা কল করে এ প্রতিনিধির সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করে বিষয়টি পত্রিকায় না লেখার জন্য ওই সেকেন্ড অফিসার অনুরোধ করেন।’ জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান সকাল ১১টায় বলেন, ‘আমি ঘটনাটি এই মাত্র জানতে পেরেছি, আমি তো থানাতেই আছি, থানায় ওসি না থাকলে বা ছুঁটিতে গেলে কী হয়েছে? যিনি ওসির দায়িত্বে থাকবেন তিনি ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।’ তিনি আরো বলেন, ওই সেকেন্ড অফিসার কেন এ ধরণের মিথ্যাচার ও তাদেরকে থানা থেকে বের করে দিলেন তা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব, এছাড়াও ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য হলে তিনি ওই দরিদ্র জেলের পরিবারকে তাদের প্রাপ্য আইনি সহায়তা দিবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন।