• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শিশু কন্যাকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগে মা গ্রেফতার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৯, ২০১৬

কানাইঘাট সংবাদদাতা : কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির কাড়াবাল্লা গ্রামে ৩৫ দিনের এক কন্যা শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগে কানাইঘাট থানা পুলিশ ৫ সন্তানের জননী মা সুফিয়া বেগমকে (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় জনমনে দীক্ষার উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাড়া বাল্লা গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী সুফিয়া বেগমের ৩৫ দিনের শিশু কন্যা তাহমিনা জান্নাত মাইশার লাশ পুকুরে পড়ে রয়েছে এমন সংবাদ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার ফয়েজ আহমদের কাছ থেকে জানতে পেরে গত সোমবার দুপুরে থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ সুফিয়া বেগমের বাড়ীর একটি ছোট পুকুর থেকে মাইশার লাশ উদ্ধার করেন। মাইশাকে পানিতে ফেলে হত্যার দায়ে পুলিশ সন্দেহ ভাজন হিসাবে মাইশার মা সুফিয়া বেগমকে আটক করে সোমবার থানায় নিয়ে আসার পর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে একেক সময় একেক কথা বলে। থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান মাইশাকে তার মা রবিবার গভীর রাতে বাড়ীর পুকুরে নিক্ষেপ করে হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় মা সুফিয়া বেগমকে গ্রেফতারের পর মেয়েকে হত্যার সন্দেহে ৫৪ ধারায় গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মাইশার হত্যা উদ্ঘাটনের জন্য আদালতে পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হবে মার। ওসি আরো জানান, সুফিয়া বেগমের স্বামী আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, হয়তবা স্বামীকে সুস্থ করতে সামাজিক কু-সংস্কার এবং কবিরাজের কথা মতো নিজের সন্তান মাইশাকে পুকুরে ফেলে দিয়ে হত্যা করতে পারে সে। শিশু মাইশার পায়ের তালুর একটুকরো মাংস নেই বলে ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। শিশু মাইশার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সন্তানকে হত্যার দায়ে আটক সুফিয়া বেগম জানিয়েছেন রবিবার গভীর রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন তার মেয়ে তাহমিনা জান্নাত মাইশার লাশ বাড়ীর পুকুরে পড়ে রয়েছে।
স্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে জেগে শোর চিৎকার শুরু করলে তার মেয়ের লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। কিন্তু তার এ বক্তব্য এলাকার কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, শিশু মাইশার হত্যাকারী যে কেউ হোক তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।