স্টাফ রিপোর্টার :::
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং, বিদুৎ বিভ্রাট ও ভুতুড়ে বিলের কারণে গোলাপগঞ্জবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মাহবুব আলমের অদক্ষতা ও দুর্নীতি এ বিদ্যুৎ হয়রানির নেপথ্যের কারণ। আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই এ অযোগ্য জিএমের অপসারণের সময় বেঁধে দিয়েছেন পৌরবাসী। অন্যথায় গোলাপগঞ্জের জনপ্রতিনিধিরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে হুঁশিয়ার করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সভা কক্ষে গোলাপগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।
মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মাধ্যমে গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনে সাব স্টেশন থেকে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বিগত ৫ বছর বছরেও এলাকার ১৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা হয়নি। এতে ঝড়-তুফানের দিনে সামান্য বাতাসেই পাহাড়ী এলাকা গোলাপগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এমনকি বর্তমান শীত মৌসুমের শুরুতেও এ মান্দাতা আমলের লাইন ছিঁড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। অথচ একাধিকবার দাবি জানানোর পরও ওই পুরোনো লাইন পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরী আরও বলেন, চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে বলা হয়, লাইন ছিঁড়ে পড়েছে। কোনো কোনো দিন ৪-৫ দিনেও লাইন মেরামত হয় না। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসছে। আর এ জন্য জিএমের অদক্ষতাকেই দায়ি করেছেন পৌরবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ভুতুড়ে বিলের কারণে হাজার হাজার গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কোনো কোনো গ্রাহকের এক মাসের বিল হঠাৎ লাফ দিয়ে পরবর্তী মাসের বিল হয়ে যাচ্ছে ৬-৭ হাজার টাকা। এছাড়াও মিটার ও ট্রান্সফরমারের দোহাই দিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে। আর এ গ্রাহক বিড়ম্বনার মূলে রয়েছে জিএমের দুর্নীতি। তাই দ্রুত দুর্নীতিবাজ জিএমের অপসারণ দাবি করেছেন গোলাপগঞ্জ পৌরবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খাঁন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম ফজলুল আহমদ ফজলু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলালুজ্জামান, প্যানেল মেয়র জহির উদ্দিন সেলিম, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আখলাকুর আম্বিয়া চৌধুরী জামিল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা, শরীফগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মুহিত হিরা, লক্ষ্মীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ সুমন, ঢাকা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, ভাদেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান জিলাল উদ্দিন, ফুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফয়ছল, বাদেপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ ও গোলাপগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ।