সংবাদদাতা :::: হবিগঞ্জে নবজাতক জোড়া শিশু ময়না-টিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম ও সিভিল সার্জন ডা. দেবপদ রায় জোড়া শিশু ময়না ও টিয়াকে দেখতে যান এবং তাদের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে শিশুদের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেন। পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম ময়না টিয়াকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য তাদের বাবা জলিল মিয়াকে প্রাথমিক সাহায্য ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ওই শিশুদের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বহন করা হবে। তিনি এ ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান। একই দিন দুপুরে হবিগঞ্জ সদরের এমপি এডভোকেট আবু জাহির জোড়া শিশু ময়না ও টিয়ার খোঁজ খবর নিতে ক্লিনিকে যান। ঐ সময় তিনি শিশুদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এদিকে সিভিল সার্জন ডা. দেবপদ রায় জানান, শিশু দুটির শারীরিক গঠন ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পৃথক হলেও উভয়ের পেট ও বুকের অংশ জোড়া লাগানো। তিনি সহজেই শিশু দুটিকে পৃথক করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সন্ধ্যা ৭টায় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সরকারী এম্বুলেন্স যোগে শিশু দুটিকে নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল থেকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুর ১টায় হবিগঞ্জ ঐ হাসপাতালে জোড়া মেয়ে শিশুর জন্ম দেন গৃহবধূ জ্যোৎস্না বেগম। তাদের মাথা দুটি, হাত ও পা চারটি। কিন্তু পেট ও বুক জোড়া লাগানো। জ্যোৎস্না বেগম বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মোঃ জলিল মিয়া স্ত্রী।