সিলেট সুরমা ডেস্ক :::: ঝালকাঠিতে বোমা হামলায় ২ বিচারক হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) কার্যকর করা হবে। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসির রায় কার্যকর উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চ ও জল্লাদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসির রায় কার্যকর করা হতে পারে। খুলনা জেলা কারাগারের জেলার জান্নাতুল ফরহাদ বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খুলনা কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আরিফের।
ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত কি-না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুলনা কারাগারে ফাঁসি হবে তারপরও যশোর ও বরিশাল জেলা কারাগারের ফাঁসির মঞ্চও তৈরি করে রাখা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম জানান, রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসির রায় কার্যকর করার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আরিফের বাড়ি বরগুনার বান্দরগাছিয়ায়। আসাদুল ইসলাম আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ সাতজনের ফাঁসির আদেশ দেন। ইতোমধ্যে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। যাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে তারা হলেন- জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক।
২০০৭ সালের ২৯মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। ২০০৭ সালের ৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি ছয় জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিলে একই বছরের ২৯ মার্চ রাতে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। একই মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক জেএমবি নেতা আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। এরপর আপিল করেন আরিফ। ২৮ আগস্ট রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। যা কার্যকর হবে রোববার রাতে।