• ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আবারও সাইবার ক্রাইমের শিকার ফায়যুর

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক :::: খ্যাতিমান অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় হত্যার হুমকি যে মোবাইল থেকে হুমকী দেয়া হয়েছিলো সেই মোবাইলের ব্যবহারকারী সিলেটের ফায়যুর রহমান। তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন এই হুমকীর সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তাকে ফাসানোর জন্য আগের মতই পুনরায় দেশের বিশিষ্টজনকে হুমকি দেয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট গাঙ্গেরপার এর ওয়াজেদ আলীর পুত্র ফায়জুর রহমান জানান, তিনি নগরীর দরগাহমহল্লা এলাকার বর্তমান বাসিন্দা। তার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তার বন্ধু কানাইঘাট উপজেলার নয়াগ্রামের মিজানুর রহমানরে নামীয় মোবাইল নম্বরটি তিনি ব্যবহার করছেন। গত ১৪ অক্টোবর বিভিন্ন পত্রিকা দেখে তিনি বিস্মিত হন। অধ্যাপক আনু মোহম্মদকে যে মোবাইল থেকে হুমকি দেয়া হয় হিসেবে যে নম্বরটি উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি তার। ফায়যুর রহমান আরো উল্লেখ করেন এর আগে দুইবার তিনি এসএমএস সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। বিনা অপরাধে জেল খেটেছেন। অর্থমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী মহোদয়কে হুমকি প্রদানের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালত কললিস্ট (সিডিআর) পরীক্ষা করে আমার সংশ্লিষ্টতা না দেখে জামিন দিয়েছেন। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে তিনি নির্দোষ। এমনকি মামলা থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।
ফায়যুর রহমান অভিযোগ করেন, যে আমাকে ফাঁসিয়েছিল, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং তাকে এ মামলার একজন সাক্ষী করা হয়। ফায়যুর জানান, মামলা যখন সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য উঠতে যাচ্ছে সেই মুহুর্তে সাক্ষী দিতে যাবো, তখনই অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ স্যারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য,গত বছরের ২৪ নভেম্বর দেশের ১৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার হুমকি প্রদানের অপরাধে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে আবদুল হক নামের এক সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে তাকে হাজির করে মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ ১৫৩ জনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আবদুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে শত্রুতার জেরে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার এক মাদরাসা শিক্ষক সাদ উদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফায়যুর রাহমান ও সালেহ ফুয়াদকে ফাঁসাতে তাঁদের মোবাইল ফোনে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে স্পুফিং করে গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আইএস-আনসারুল্লা বাংলা টিমের নামে এসএমএসে হুমকি দিয়ে আসছে। এই তালিকায় ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মুনতাসীর মামুন, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ মোট ১৫৩ জন ব্যক্তি।
আবদুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা ও সিলেটে দুটি মামলা হয়। এরপর গত প্রায় এক বছর এসএমএসের মাধ্যমে হুমকির ঘটনা আর শোনা যায়নি। কিন্তু যখনই তার বিরুদ্ধে মামলা দুটি সাইবার ট্রাইবুনালে বিচারের জন্য উঠবে, ঠিক সেই সময় স্পুফিং এর মাধ্যমে আমার (মামলার স্বাক্ষী) নম্বর ব্যবহার করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর আনু মুহম্মদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইলে হুমকি দিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।