• ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হবে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, সরকারের সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এটি বাস্তবায়ন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ছিল। তাঁর আন্তরিকতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সকল ধরণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।
তিনি রোববার বিকেলে সিলেট নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোমেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেট আওয়ামী লীগ ও সিলেটবাসীর উন্নয়নে সবসময় আন্তরিক। তিনি সিলেটবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন করে দেবেন। এছাড়াও প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটবাসীকে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি একে একে সবগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, চীনের প্রধামন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে ২৭টি চুক্তি সই হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে আখাউড়া-সিলেট ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।
ড. মোমেন বলেন, প্রকল্প দু’টির কাজ সম্পন্ন হলে সড়ক ও রেলপথে মাত্র ৩ ঘন্টায় ঢাকা-সিলেটে যাতায়াত করা যাবে। এরফলে সিলেটের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও উন্নত হবে। সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে এবং যাতায়াত নিরাপদ হবে। সিলেট অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের দ্বার সম্প্রসারিত হবে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। সিলেটের পর্যটন শিল্প আরো বিকশিত হবে।
প্রকল্প দু’টি হাতে নেওয়ায় তিনি প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য টেকসই উন্নয়ন জরুরি। এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া বিশ্বমানের শিক্ষা ও উন্নত প্রশাসনিক ব্যবস্থাও জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সিলেট অঞ্চলের গ্যাস সমস্যার কথা উল্লেখ করে সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, সিলেটে এখনও গ্যাসের বিশাল মজুদ রয়েছে। এগুলো উত্তোলন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে সিলেটসহ সারাদেশের গ্যাসের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সাবেক জেলা সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, নুরুল ইসলাম পুতুল, সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নুনু মিয়া, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মফিজুর রহমান বাদশাহ, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফসর আহমদ, মহানগর যুগলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদার, যুবলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ, সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।