সংবাদদাতা :: গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর মাইজ গ্রামে চুরির বিচার চাইতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন রাবেল চৌধুরী (৩২) নামের এক পল্লী চিকিৎসক। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় গত ৭ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে একই গ্রামের এলকার চিহ্নিত চোর-ডাকাত চঞ্চল এর পরিবারের দুটি মাইজভাগ গ্রামের ”শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোর” এর কিছু মালা-মাল চুরি করে নিয়ে যায়। শিশুদের ভয় দেখিয়ে সাবধান করতে বিষয়টি পরিবারকে জানাতে তাদের বাড়ীতে গেলে এলাকার সন্ত্রাসীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: এম এ রহিম এর পুত্র শাহজালাল ভেরাইটিজ ষ্টোর এর সত্ত্বাধীকারী পল্লী চিকিৎসক ডা: রাবেল চৌধুরীর উপর দেশীয় অস্ত্র চাপাতি,চাকু,সুলফি বঠি,লাটি-সোটা দিয়ে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে এলো পাতারিভাবে হামলা চালিয়ে গুরতর আহত করে। তাদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে দৌড় দিলে হামলাকারীরাও পিছু নিয়ে তাহার দোকান ভাংচুর,মালা-মাল লুট করে এবং চঞ্চলের স্ত্রী বিনা ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাহার চিৎকারে আতœীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারী সন্ত্রাসী চোরেরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা আহত রাবেলকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহত রাবেল ওসমানী হাসপাতালের ৩য়তলায় ১০নং ওয়ার্ডের ২১নং ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন আছে।
এব্যাপারে রাবেলের ছোট ভাই রাসেল আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখন মামলাটি রেকর্ড হয়নি এবং বিবাদীদের বিরোদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
হামলাকারী পরিবারটি এলাকায় একঘরী হয়ে আছে। তাদের পুরো পরিবারটি চুরি-ডাকাতিতে লিপ্ত থাকায় গ্রামের কেউ তাদের সাথে মিশেনা। ২০১৫ সালে মসজিদের কিছু জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ এনে মাইজভাগ গ্রামবাসী ১৩৩জনের স্বাক্ষর সহ বিবাদীদের বিরোদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ।