সিলেট সুরমা ডেস্ক:::::::::: আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে আটক নব্য জেএমবির অর্থদাতা আবদুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুমির তদন্তভার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নে (র্যাব) হস্তান্তর করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আশুলিয়া থানা থেকে রুমির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মোরশেদ আলী মোল্লা বিভিন্ন নথিপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে হস্তান্তর করেন।
র্যাব সদর দপ্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিমান্ড চলাকালীন তদন্তভার ও দুই সন্তানসহ রুমিকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় বলে জানান এসআই মোরশেদ আলী মোল্লা।
তিনি জানান, র্যাব সদর দপ্তরের আবেদনে প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুটি মামলার আদলতের দেওয়া পাঁচ দিনের রিমান্ডের তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, বাকি দুইদিন র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার একটি আবাসিক ভবনের পঞ্চম তলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান শুরু করে র্যাব। র্যাবের অভিযান টের পেয়ে পাঁচতলা থেকে পালানোর উদ্দেশ্যে লাফ দেন নব্য জেএমবির প্রধান অর্থদাতা আবদুর রহমান।
পরে আবদুর রহমানকে আহত অবস্থায় আটক করে সাভার এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। আবদুর রহমানের পাঁচতলায় কক্ষগুলো তল্লাশি করে ৩০ লাখ টাকা, অস্ত্র, বিস্ফোরক, গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায়।
এদিকে আবদুর রহমানের স্ত্রীকে আটক ও তিন শিশুকে উদ্ধার করে র্যাব। এ ছাড়া ওই বাড়ির কেয়ারটেকার তারিকুলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কেয়ারটেকার তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আব্দুর রহমানের স্ত্রী-সন্তানদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এ ঘটনায় আবদুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুমিকে আসামি করে অস্ত্র আইন এবং সন্ত্রাসদমন ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে র্যাব। র্যাবের করা দুটি মামলায় রুমিকে পাঁচ দিন করে ১০দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এ ছাড়া আব্দুর রহমানের তিন শিশু সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে তাহমিদ (৭) ও জাওয়াত (৫) রুমির মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে লাবণ্য (১১)কে গাজীপুরের সেফ হাউসে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।