সিলেট সুরমা বিনোদন ডেস্ক :::::: অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ইফতেখার চৌধুরীর ‘ওয়ান ওয়ে-এক রাস্তা’ সিনেমাটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, ইয়ামিন হক ববি এবং বাপ্পী চৌধুরী। সিনেমা মুক্তির প্রসঙ্গে ইফতেখার চৌধুরী বলেন, “সারাদেশে ২১ অক্টোবর ‘ওয়ান ওয়ে-এক রাস্তা’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা সারাদেশে ১০০ এর বেশি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রদর্শণ করার। আমার বিশ্বাস আপনাদের সকলের এই সিনেমাটি ভালো লাগবে। ‘ওয়ান ওয়ে-এক রাস্তা’ সিনেমাটি পুরোদস্তর বাংলাদেশী সিনেমা।”
সিনেমার তিন কলাকুশলী, মিলন, ববি ও বাপ্পী- প্রত্যেককেই পর্দায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। তবে সিনেমার গল্পে নাকি সমাজের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তাই রয়েছে- এমনটাই দাবী
করলেন র্নিমাতা।
তিনি বলেন, “আসলেই সিনেমার গল্পে সব কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো খারাপ লোকের চরিত্রে অভিনয় করেছে। কিন্তু গল্পের মধ্যে যে বার্তা আছে, তা হলো জীবনে অন্ধকারের পথে যদি তুমি চলো তাহলে ফিরে আসার আর কোন পথ নেই। তাই এই অন্ধকারের পথে কাউকেই কোনভাবেই চলা উচিত নয়। সবার সবসময় এই পথ থেকে দূরে থাকাটাই উচিত।”
দেশের এক র্শীষ সন্ত্রাসীর জীবনের সত্যি ঘটনাকে উপজীব্য করে নির্মীত হয়েছে ‘ওয়ান ওয়ে’- এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই তথ্যকে গুজব হিসেবেই দাবি করলেন নির্মাতা।
তিনি বলেন, “এই সিনেমা কোনো বায়োপিক নয়। এটি সর্ম্পূণ মৌলিক গল্পের সিনেমা, যার সঙ্গে কোনো ব্যক্তির জীবনের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি সমাজের কোনো গ্যাংস্টারের জীবনের সঙ্গেও মিল নেই। শুধু তাই নয়, এই সিনেমার গল্পের গাঁথুনিও খুব মজবুত।”
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ববি বলেন, “আমি আগে কখনো এমন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। এমনকি আমি, বাপ্পী ও মিলন এমন ধরনের চরিত্রে আগে কখনোই সিনেমায় অভিনয় করিনি। আমার অভিনীত চরিত্র কেমন হয়েছে তা দেখতে হলে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে হবে।”
২০১৫ সালে ঈদুল আযহায় মুক্তি পেয়েছিলো ববি অভিনীত ‘রাজাবাবু’ সিনেমাটি। এরপরে র্দীঘ বিরতির পরে এই সিনেমার মাধ্যমে আবারো পর্দায় দেখা মিলবে তার।
সেক্ষেত্রে বাড়তি কোন চাপ অনুভব করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ না বাড়তি কোনো চিন্তা মোটেও নেই। কারণ মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে।”
বাপ্পী চৌধুরী এতোদিন পরিচিত ছিলেন রোমান্টিক ঘরানার নায়ক হিসেবেই। এবার রূপ বদল কেন?
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সিনেমার গল্পটা খুব সুন্দর। সবসময় তো রোমান্টিক ঘরানায় অভিনয় করি। ভাবলাম এবার একটি খারাপ লোকের চরিত্রে অভিনয় করি। একটু বদলাই। সেই পরিবর্তনের পরে সকলের কাছ থেকে বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছি।”
মিলন-এর মতো অভিনেতার সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগির প্রতিযোগিতাটা কেমন ছিল?
বাপ্পী বলেন, “এই ধরনের কোনো প্রতিযোগিতা কখনোই ছিলো না। মিলন ভাই আমাকে আপন ছোট ভাইয়ের মতো আদর করেন। কাজের সময় যখনই আমার কোন অভিনয় নিয়ে পরামর্শের প্রয়োজন হতো আমি তার কাছেই যেতাম।”
ইফতেখার চৌধুরীর ‘দেহরক্ষী’ সিনেমাতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আনিসুর রহমান মিলন। ‘ওয়ান ওয়ে-এক রাস্তা’ সিনেমাতেও তাকে দেখা যাবে খলচরিত্রেই।
নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার অভিনয়ের জায়গা থেকে ‘দেহরক্ষী’ সিনেমায় আসলেই আমি অন্য ধরনের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু এই সিনেমায় একেবারেই আলাদা একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই সেই দিক থেকে কোনোভাবেই আমার আগের চরিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা সম্ভব হবে না।”
সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু।