সিলেট সুরমা ডেস্ক:::::::: সেতু ভেঙেছে প্রায় এক মাস আগে। এলাকার মানুষের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় সেতুটি মেরামতে কর্তৃপক্ষের মোটেই কোন নজর নেই। বাধ্য হয়ে স্থানীয় কিছু উদ্যোমী তরুণের চেষ্টায় বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়েছে সেতুটি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিকারী গ্রামে সাঞ্চায় নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি মেরামত করেছে এলাকার কিছু উদ্যোগী তরুন। প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে পাঁচশটি বাঁশ দিয়ে সেতুটি কোন রকম চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৪ সালে উপজেলার টিকারী গ্রামে সাঞ্চায় নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করেন স্থানীয় এলজিইডি। ভৌগলিক কারণে সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতুর উপর দিয়ে ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে নারিকেলবাড়িয়া টিকারী হয়ে মাগুরা শহরে চলে গেছে এই রাস্তাটি।
এ ছাড়া সেতুটি দিয়ে চলাচল করে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার জিতড়, ভবানীপুর, মিয়াকুন্ডু, কুশোবাড়িয়া, ধনঞ্জয়পুর, মুক্তারামপুর, মাড়ন্দি, নারিকেলবাড়িয়া, টিকারী, দহখোলা, দিঘিরপাড়, লক্ষ্মীপুর, মালঞ্চি, ব্যাংশ, বেরুইলসহ পাশ্ববর্তী ২০ গ্রামের মানুষ।
ফুরসন্ধি গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ চন্দ্র জানান, গত ৬ জুন হঠাৎ করে সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে পড়ে। এর কয়েক মাস আগে সেতুটি মাঝের অংশ কিছুটা নিচু মনে হলে স্থানীয় এলজিইডি অফিসে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে এলজিইডি অফিসের লোকজন এসে একটি সাইনবোর্ড দিয়ে যান ‘ভারী যানবাহন চলবে না’। সেই থেকে সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করতো না। মাঝে মধ্যে ভ্যান, নসিমন, করিমন, বাইসাইকেল চলাচল করতো।
বিকাশ আরও জানান, গত ৬ জুন হঠাৎ সেতুটির মাঝের অংশ ধসে নিচে পড়ে যায়। এতে টিকারী গ্রামের সজিব হোসেন ও দুলাল মিয়া নামে দুই পথচারী আহত হন। সেতুটি ভেঙে পড়ার এক মাস পরও জনসাধারণের চলাচলের কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষের ১০/১২ কিলোমিটার ঘুরে আবার কেউ ঝুঁকি নিয়ে তালের ডিঙ্গায় পার হচ্ছিলেন সাঞ্চায় নদী।
এ অবস্থায় এলাকার কিছু উদ্যোগী তরুন টাকা তুলে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে পাঁচশটি বাঁশ দিয়ে সেতুটির ভাঙ্গা অংশে বাঁশের চরাট দিয়ে মেরামত করেছে। তবে পানিতে বাঁশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে এলাকাবাসীর। এ কারণে সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে এলজিইডির ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, অর্থ বরাদ্দ ছাড়া কিছু করার থাকে না। আমরা বরাদ্দ আসার অপেক্ষায় আছি। বরাদ্দ পেলে সেতুটি নির্মাণ করা হবে। তবে কবে নাগাদ সরকারি বরাদ্দ আসবে তা জানাতে পারেননি তিনি।