সংবাদদাতা :: কোম্পানীগঞ্জে আটক ডাকাত সর্দার রফিকুল আলম রফিকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বায়েস আলম জানান, আটক ডাকাত রফিকের বিরুদ্ধে ৯টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা, তিনটি মামলায় চার্জশিট এবং ৫টি মামলা তদন্তাধীন আছে। আটক ডাকাত রফিক তার গ্যাংয়ের ১৪ সদস্যের নাম পুলিশের কাছে উল্লেখ করেছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তার কাছ থেকে ৬ ইঞ্চি ম্যাগজিন সংযুক্ত একটি জাপানী পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক রফিককে প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ওসি।
১৫-২০ জনের একদল ডাকাত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে কলাবাড়ি এলাকায় ভোলাগঞ্জ ধলাই সেতুর পূর্ব পারে জমায়েত হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বায়েস আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান। পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে বলে জানান ওসি। পুলিশও পাল্টা গুলি চায়। পাথরের আঘাতে আহত হন ৫ পুলিশ সদস্য। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পুলিশের হামলায় ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও ডাকাত সর্দার রফিক মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটককৃত ডাকাত নয়াগাঙ্গের পাড়ের মৃত কালাই মিয়ার পুত্র। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিনসহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫টি মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। ডাকাত দলের ছররা গুলি ও পাথর নিক্ষেপে আহত হয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বায়েস আলম, এস আই রাশেদুল আলম খান, এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন, এস আই শফিকুল আলম ও কনস্টেবল বিল্লাল আহমদ। আহতদের মধ্যে এস আই রাশেদুল আলম ও কনস্টেবল বিল্লালকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বায়েস আলম ডাকাতদের লক্ষ্য করে ২৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আটক ডাকাতদলের সদস্য রফিক ১৫টি ডাকাতি ও খুনের মামলার আসামি। এ ছাড়া, পুলিশ ডাকাত দলের ব্যবহৃত ছুরি, রামদা, বল্লম, ডেগার ও মুখোশ উদ্ধার করেছে।