সিলেট সুরমা ডেস্ক::::::: দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাউন্সিল গঠনের বিধান রেখে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৬ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, ‘উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এই আইন। এর আগে আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজ আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। আইনটি চূড়ান্ত হলে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এই কাউন্সিলের অনুমতি নিতে হবে।
আইনের ৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, কাউন্সিল গঠন হবে ১৩ সদস্য নিয়ে। এর মধ্যে একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। চারজন পূর্ণকালীন ও আটজন খণ্ডকালীন সদস্য থাকবেন। এই কাউন্সিল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম যাচাই করে এ বিষয়ে স্বীকৃতি দেবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৮টি পাবলিক ও ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই কাউন্সিলের স্বীকৃতি পেতে হবে।
তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত বলে প্রচার করতে পারবে না। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়া কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবে না। এই কাউন্সিল যৌক্তিক কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা এর অধীন কোনো ডিগ্রি প্রোগ্রামের ‘অ্যাক্রেডিটেশন ও কনফিডেন্স’ সনদ বাতিলও করবে।
গত ২৮ মার্চ মন্ত্রিসভায় এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পাওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট সবার অবগতির জন্য কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এর মাধ্যমে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশে ও মিয়ানমারের মধ্যে নাফ নদীর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘এর ফলে নাফ নদীতে বাংলাদেশের সীমানার কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
মিয়ানমারে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নাফ নদীর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে চুক্তি হয়। কিন্তু চুক্তির খসড়া দুই দেশের কেউই অনুমোদন করেনি। এখন মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার বাংলাদেশকে চুক্তির খসড়া অনুমোদনের অনুরোধ করেছে। ফলে আজ মন্ত্রিসভা খসড়াটি অনুমোদন দেয়।