সিলেট সুরমা ডেস্ক :
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগমের ওপর হামলাকারী বদরুল আলমকে আয়াজুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা ডেকে বদরুলকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ বিদ্যালয়ে সাঁটানো হয়। বিকেলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মখলিছুর রহমান বদরুলকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১২ সালে তাঁর ভাই আয়াজুর রহমানের নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বদরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক পদে ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এখানে যোগ দেন। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের সৈদেরগাঁওয়ের এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আরও বলেন, ‘খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় আমাদের বিদ্যালয়ের ৬০০ শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। বদরুল আলমের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক—এটা আমরাও চাই। এ জন্য তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’ সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট এমসি কলেজের পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর খাদিজাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন ছাত্রলীগ নেতা বদরুল। খাদিজার সহপাঠীসহ স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন। বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে।
বদরুল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক।
এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সিলেটের শাহপরান থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। গতকাল বুধবার বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাগের মাথায় তিনি খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কোপান। জবানবন্দি দেওয়ার পর বদরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।