সিলেট সুরমা ডেস্ক : ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী বদরুলের চাপাতির কোপে গুরুতর হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে খাদিজাকে দেখে দেখে এসে এই তথ্য দেন। তিনি বলেন, “তাকে আমি দেখে এসেছি, আগের চেয়ে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তার রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে।
খাদিজাকে দেখে এসে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়ছেন বৃহত্তর জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি সিএম শফি সামীও।
তিনি ডাক্তারদের সাথে কথা বলে খাদিজার অবস্থার উন্নতির খবর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ডাক্তাররা আমাকে জানিয়েছেন আগে বাঁচার ৫% সম্ভবনা ছিল এখন সেটা বেড়ে ১৫% হয়েছে।” চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজাকে ৭২ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল, ৭২ ঘন্টা শেষে আরও ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।”
এদিকে সৌদি আরব থেকে খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া ও চীন থেকে খাদিজার বড় ভাই শাহীন আহমদ দেশে ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে খাদিজা আক্তার নার্গিস নামের এক কলেজছাত্রীকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে বদরুল আলম। এ ঘটনায় বদরুলকে আসামী করে শাহপরান থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পদে ছিল। তবে ছাত্রলীগ তার পদ খারিজের দাবি করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়। কলেজছাত্রীকে হত্যাচেষ্টার কারণে শাবি থেকেও তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।