বড়লেখা প্রতিনিধি ::মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম গুলুয়া গ্রামে মায়া রানী দাস (৫৫) নামের এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বৃদ্ধার নিজ গৃহে ঢুকে একই এলাকার যুবক নিপেশ দাস সুনাই তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। নিহত মায়া রানী দাস গুলুয়া গ্রামের মৃত ললিত মোহন দাসের স্ত্রী। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী অভিযুক্ত যুবক নিপেশ দাস সুনাইকে (২৩) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে গুলুয়া গ্রামের মৃত ললিত মোহন দাসের স্ত্রী মায়া রানী দাস নিজ ঘরে বসে সকালের নাস্তা করছিলেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে একই গ্রামের নিতাই চাঁদ দাসের ছেলে নিপেশ দাস ওরফে সুনাই মায়া রানীর ঘরে প্রবেশ করে ধারালো কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।
এসময় মায়া রানীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সিলেটে নেয়ার পথে গোলাপগঞ্জ এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “কি কারণে বৃদ্ধাকে কুপিয়েছে এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। এলাকার লোকজন বলছেন, ছেলেটি এর আগেও অন্য লোকদের মারার জন্য ধাওয়া করতো। এ ঘটনায় তদন্ত ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।”