• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে ভাঙা-গড়ার কাজ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ৪, ২০১৬

mannaসিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে ভাঙা-গড়ার কাজ। গ্যালারির আধুনিকায়ন আর আসন সংখ্যা বাড়ছে। কাজের মাঝেই পরশু এই মাঠে শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের সিলেট-রংপুর বিভাগের ম্যাচ। এই ম্যাচের কোনো আবেদন নেই দর্শকদের কাছে। থাকার কথাও নয়, জাতীয় দলের কেউ তো খেলছেন না প্রথম শ্রেণীর এই ম্যাচে। তবে সোমবার ভিআইপি গ্যালারিতে বসা কিছু দর্শক আর ম্যাচ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের নজর কাড়লেন একজন। তিনি এখন মাঠের সৈনিক নন। মি. ডিপেন্ডেবল আর ফিফটি উপমা তার জাত চেনাতে যথেষ্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের হসপিটালিটি বক্সে বসেই দেখছিলেন জাতীয় লিগের এই ম্যাচ। এক সময় মাঠে আলো ছড়ানো ক্রিকেট তারকা মাঠের বাইরে থেকেও আলোটা কেড়ে নেন। আগের চেয়ে তার কাজের ধরনটা বদলেছে, চাইলেই এখন আর মুখ ফুটে সবকিছু বলতে পারেন না। তবে সিলেটে সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন সাবলীলভাবে। আফগানিস্তান আর ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়েই কথা হয়েছে বেশি। আফগানিস্তান সিরিজ শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতিই নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের দীর্ঘ বিরতি এই সিরিজে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষ ম্যাচটাই আমরা আমাদের মতো করে খেলেছি। ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে এই কাজটা খুব জরুরী ছিল। বাংলাদেশ দলের ওপেনার সৌম্য সরকার অনেক দিন হয় ফর্মে নেই, এই জায়গায় বিকল্প কাউকে ভাবা হচ্ছে কিনা-এই প্রশ্নে হাবিবুল বাশার সৌম্যর দলে থাকার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন, ‘ওয়ানডেতে সৌম্যর অ্যাভারেজ দেখুন। প্রায় ৪৯ এর মতো গড় তার। যা বাংলাদেশের পক্ষে এখন সর্বোচ্চ। একজন ক্রিকেটার অফ ফর্মে যেতেই পারে। সবার জন্যই এরকম দিন আসে। হয়তো সে ইংল্যান্ড সিরিজেই রানে ফিরবে।  সিলেটের অলক কাপালী আর ইমতিয়াজ হোসেন তান্নাকে নিয়েও কথা বলেন জাতীয় দলের নির্বাচক। গেল মৌসুমে বিসিএল আর জাতীয় ক্রিকেট লিগে রানের মধ্যে ছিলেন অলক। দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আর তান্না প্রিমিয়ার লিগে রান করেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। এই দুজন জাতীয় দলে নির্বাচকদের বিবেচনায় আছেন কিনা জানতে চাইলে বাশার বলেন, অলকের আসলে ভাগ্যটাই খারাপ। সে যে পজিশনে ব্যাটিং করে এই জায়গায় সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকরা নামে। এই কম্বিনেশনটা কে ভাঙতে চাইবে বলুন। তান্নার ব্যাপারটাও একইরকম। তামিম, সৌম্য আর ইমরুল কায়েস বাংলাদেশ দলে ওপেন করেন। এই জায়গায় এখন আর বিকল্প কাউকে ভাবা হচ্ছে না। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুগ্ধ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশের সেরা ভেন্যু সিলেট। বাংলাদেশের সেরা ভেন্যু সিলেট। উইকেট আউটল্ডি সবই চমৎকার। আর ভিউটা তো দেশ-বিদেশের সবাইকেই মুগ্ধ করে। বাংলাদেশের সেরা ভেন্যু, অথচ এই মাঠে এখনও বাংলাদেশের কোনো খেলা হয়নি। বড় কোনোও দলের খেলাও দেখেনি সিলেটের মানুষ। এ বিষয়ে হাবিবুল বাশারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এখানে তো কাজ চলছে। আগে কাজ শেষ করুন, আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখানে হবে।