বড়লেখা প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফাতির আলীর স্ত্রী মায়ারুন্নেছা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফাহাদ আহমদ সবুজ (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাহাদ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রামের ফারুক উদ্দিনের ছেলে। গত রোববার (২ অক্টোবর) রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিতাভ দাস তালুকদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বারইগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান জামানের আদালতে ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক মায়ারুন্নেছাকে (৬৫) চান্দগ্রামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার ঘটনায় মায়ারুন্নেছার দেবর হারিছ আলী বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা রেখে থানায় মামলা করেন। মামলা নং-১০। এই ঘটনার পরদিন (১৪ সেপ্টেম্বর) মায়ারুন্নেছার পুত্রবধূ ফাহিমা বেগমকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে পুত্রবধূ ফাহিমা শাশুড়িকে হত্যা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত হত্যাকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে পুত্রবধূ ফাহিমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফাহাদ আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাঁকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে এ পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’