স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ী এলাকা থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ীসহ তিন ছিনতাইকারিকে আটক করেছে জনতা। পরে তাদের উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। জানাযায়, বালাগঞ্জ থানার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে রুয়েল আহমদ গাড়ী ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। সোমবার দুপুর ১২ টার সময় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি। পথিমধ্যে সিলাম কলারতল নামক স্থানে আসার পর পিছন থেকে একটি কার তার মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় তিনি মাটিতে গড়িয়ে পড়েন। পরে ৫ ছিনতাইকারী তাদের গাড়ী থেকে নেমে জোরপূর্বক তার পরনে থাকা প্যান্টের পকেট থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে ধরে এবং জৈনপুর বাজার থেকে তাদের গাড়ী একটি ফোরস্ট্রোককে ধাক্কা দিয়ে থেমে গেলে তারা ধরা পড়ে। এসময় উত্তেজিত জনতা ছিনতাইকারীদের উত্তম মধ্যম দিতে থাকে। এরই ফাঁকে দুইজন ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উত্তেজিত জনতা এসময় ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কার গাড়ীটি ভাংচুর করে। এসময় কারের ভিতরে চুরি করা একটি গরুর বাচ্চা পাওয়া যায়। পলাতক ছিনতাইকারীরা হল- তোফায়েল ও রেজাউল। ঘটনার খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই রিপন দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতার রোষানল থেকে ছিনতাইকারীদের উদ্ধার করেন। তার হলেন, জালালাবাদ থানার আখালিয়া নতুন বাজার এলাকার কাজল মিয়ার পুত্র আনাজ মিয়া (২২), একই এলাকার নূরুল ইসলামের পুত্র জাকারিয়া (২৮), জৈন্তা দরবস্ত এলাকার আলী মিয়ার পুত্র ইমরান (২৫)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই রিপন দাস জানান, পালিয়ে যাওয়া ২ ছিনতাইকারীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।