সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তনদী জাদুকাঁটায় দ্বীর্ঘ দিন ধরেই নদীর চর দখল ও মালিকানা দাবি করে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র দৈনিক ভিক্তিত্বে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে বালি পাথর খেকো চক্রের সদস্যদের প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকার বালি পাথর লুটের সুযোগ করে দেয়। এতে কয়েক হাজার সাধারন শ্রমিকদের মারপিট করে নদী থেকে হাতে তোলা বালি পাথর উক্তোলন কাজ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিক্তিত্বে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্য্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে বালি পাথর উক্তোলন কাজে ব্যবহ্নত ৫টি বোমা , ৫টি ড্রেজার , ৭টি সেইভ মেশিন ও ৭টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে নদীর তীর কেঁটে বালি উক্তোলন করার সময় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃতরা হল, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি সোনাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জামাল মিয়া ও বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: রফিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জব্দকৃত মালামাল ও নৌকা আগুন লাগিয়ে জনসম্মুখে পুঁড়িয়ে ফেলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ, বড়দল উওর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটির উপ-পরিচালক হাবিব সরোয়ার আজাদ এএসআই ফরহাদ আলী সহ বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নদীতে হাজারো সাধারন শ্রমিক সমবেত হয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট নদীতে চর দখল করে মালিকানা দাবি করে নদীর বুকে সীমানা চিহ্নিত করে প্রতিদিন ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র কতৃক অবৈধ ভাবে ড্রেজার, সেইভ, ও বোমা মেশিন দিয়ে নদীতে খাল- পুকুর তৈরী করে বালি- পাথর লুটের অভিযোগ তুলে ধরেন। উপজেলা প্রশান সাধারন শ্রমিকদের আশ্বস্থ করেন নদীতে কোন ব্যাক্তি বিশেষের মালিকানা নেই, সাধারন শ্রমিকরা হাতে তোলে বালি পাথর উক্তোলন করতে পারবে এমনকি কোন চাঁদাবাজ চক্র চাঁদাবাজি ও নদীর মালিকানা দাবি করতে আসলে প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করলে ওই চাঁদাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।