বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হকের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের নিন্দ্বা ও প্রতিবাদে কদমতলীতে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাত ১০ টায় কদমতলী পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন,কদমতলী জামে মসজিদের মোতায়াল্লী, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও কদমতলী পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান আলহাজ্ব সোলেমান বকস্, বীর যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রফিকুল হক, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন, বিশিষ্ঠ মুরব্বী আঙ্গুর মিয়া, হাজী আব্দুল কাদির লালু মিয়া, বিশিষ্ঠ কয়লা ব্যবসায়ী এম এ মন্নান, খলকু মিয়া, মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন, ব্যবসায়ী কবির মিয়া, ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার রশীদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মুমিন আজম আলী, বাবলু হোসেন হৃদয়, শফিকুর রহমান, স্বর্ণশিখা সমাজ কল্যাণ সমিতির আহবায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সৈনিক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রফিকুল হকের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী অপ-শক্তির আশ্রয়ে থাকা কথিত মুক্তিযোদ্ধা নামীয় কয়েক দুবৃর্ত্ত মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে রফিকুল হকের সম্মান ক্ষুন্ন করছে। ঐ অপ-শক্তি মিথ্যার আশ্রয়ে রফিকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে কাল্পনিক তথ্য দিয়ে যে বিভ্রান্তির সৃষ্ঠি করছে তা অত্যান্ত লজ্জাজনক, বক্তারা আরো বলেন,বীর যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর কদমতলীতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনিসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মিলিত হয়ে কদমতলী পয়েন্টে অবস্থিত পাক বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে পাক বাহিনীর সদস্যদের পাকড়াও করেন, ঐ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কদমতলী এলাকার তরুন যুবকরা অংশগ্রহন করে। সেই সম্মুখ যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর তিন সদস্য শহীদ হন। এ সব ঘটনা কদমতলীবাসী ভুলে নাই। সব সত্য ঘটনাকে ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়দানকারী এক লেখক স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে রফিকুল হকের বিরুদ্ধে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছেন, যা মানহানিকর। আমরা এর তীর্ব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক তাঁর জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের সমস্ত ঘটনা প্রকাশে দ্বিদ্বাবোধ করিবেন না। বিজ্ঞপ্তি।