• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতার অপব্যবহার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ভ’য়া তথ্যের ভিক্তিত্বে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান পন্ড করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পড়ল পুলিশ। উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের  সীমান্তবর্তী চারাগাঁও এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌণে ৪টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের কলাগাঁও মাইজহাঁটির আক্তার হোসেনের প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী চারাগাঁও গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার প্রাপ্ত বয়স্ক চেলে রুহুল আমিনের বিয়ে হয় বুধবার। বর কনে উভযের জন্ম নিবদ্ধন ও নাগরিকত্ব সনদপত্র দেখেই কাজি বিয়ে পড়ান। কিন্তু এ বিয়েতে বরের এক প্রভাবশালী আত্বীয়কে দাওয়াত না দেয়ায় বিয়ের পরদিন বৃহস্পতিবার বরের বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান পন্ড করতে নিজের ক্ষমতার জানান দিতে গিয়ে ভুল ও ভুয়া তথ্য দিয়ে থানা পুলিশকে বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়েছে বলে ডেকে আনা হয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার পৌণে ৪টার দিকে তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসএসআই তপন কুমার দাস বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে গিয়ে অতিথি আপ্যায়নের সময় বরের মামা নুর ইসলাম (৫৫) ও বরের শশুর আক্তার হোসেন (৫২) কে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে থাকা অতিথি ও এলাকার জনতা পুলিশকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পুলিশ একটি ঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। পরে জনতার চাঁপের মুখে হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। বরের মামা নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমাদেরকে হাতকড়া পড়ালেই কি? আর জেলে নিলেই  কি?  একটি আনন্দ ময় বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে পুলিশ শত শত অতিথি মহিলা পুরুষ ও শিশুদের সামনে আমাদের হাতকড়া পড়ালো এত বড় অপমান আমরা জীবনে কোনদিন হইনি, যাক দেখার  তো কেউ নেই ,আছেন একমাত্র আল্লাহ! এ ব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসএসআই জানান, বর ও কনের জন্ম নিবন্ধনের কাগজ পত্র দেখাতে গিয়ে কিছুটা দম্ভোক্তি দেখালে আমি হ্যান্ডকাপ লাগাতে বাধ্য হই, আসলে এটি ভুল তথ্য ছিল , পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে, কে বাল্য বিবাহের তথ্য দিয়েছিলো এমন প্রশ্নের উওর তিনি এড়িয়ে যান।  স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম খসরু প্রায় এক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিষ্পক্তি করে জানান, বর কনে উভয়ের জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদপত্র সঠিক আছে ঘটনাটি দু:খজনক।