সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আবাসিক এলাকা থেকে গুলিভর্তি রিভলবার সহ পুলিশ স্বেচ্ছসেবক লীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃর নাম শফিকুল ইসলাম ওরফে ফরহাদ। সে পৌর শহরের আরপিন নগর এলাকার মৃত মকসুদ আলীর ছেলে ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক। পুলিশ তার বাসা থেকে গ্রেফতার করার সময় তার হেফাজতে থাকা একটি দেশীয় রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় পৌরবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই সে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চাঁদাবাজি, ভুমি দখল, ছিনতাই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে আইনশৃঙখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে আসছিলো। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে শহরবাসী এমনি শহরে যাতায়াতকারীরাও চরম নিরাপক্তায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ,ছিনতাই ও সংঘর্ষের বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়। তবুও ধমেনি বেপরোয়া ফরহাদের অপকর্ম। গোপস সংবাদের ভিক্তিত্বে শনিবার সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ফরহাদ ফের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ফরহাদ। অভিযানে পুলিশের সাদাপোশাকধারী একটি টিম অবস্থান নেয় আরপিননগর এলাকায়। তারা ফরহাদের বাসা ঘেরাও করে রাখেন। সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের সংকেত পাওয়ামাত্রই এলাকার তিনটি রাস্তা ধরে অগ্রসর হয় পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের অপর তিনটি টিম। পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে বাসার চারদিকে ঘেরাও করে ফেললে অনেকটা বেকায়দার পড়ে যায় ফরহাদ। পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে ঘরের দরজা জানালাগুলো ভেতর থেকে আটকে দেয় ফরহাদ। পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার ফরহাদকে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হলেও ঘরের ভেতর থেকে এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি সে। পরে পুলিশ বাসার পেছন দিকের একটি জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথম দু’দফায় তল্লাশি চালানো হলেও ফরহাদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তী তৃতীয় দফা আরো একদফা তল্লাশীকালে একটি কক্ষের সিলিংয়ের উপর লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ফরহাদকে আটক করা হয়। দেখা যায় ফরহাদকে। এ সময় ফরহাদ তার সঙ্গে থাকা রিভলবার দিয়ে পুলিশকে আক্রমণের অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এ সময় ফরহাদের কাছ থেকে একটি রিভলভার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব থাকা সদর মডেল থানার ওসি মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ফরহাদ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত,। থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি , ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। শনিবার গুলিভর্তি রিভলবার সহ ফরহাদকে গ্রেফতারের পর সদর মডেল থানার এসআই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন।