• ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আগামীকাল পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক :
আগামীকাল ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সারাদেশে দশ হাজার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ প্রক্রিয়া।
এসএসসি পাস, শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন এবং পুলিশের চাকরিতে আগ্রহীদের জন্য পুলিশে যোগদানের জন্য পরীক্ষায় বসতে হবে।
নির্ধারিত তারিখে প্রার্থীর নিজে জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। কেমন হয় কনস্টেবল পদের শারীরিক বাছাই পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন আসে- এ নিয়ে প্রার্থীদের মনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। চলুন জেনেনিই কনস্টেবল পদে নিয়োগের নানা ধাপ সম্পর্কে।
প্রথমেই শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা
নির্ধারিত তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিজ জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে উপস্থিত হতে হবে। শারীরিক মাপ পরীক্ষায় প্রথমেই বিজ্ঞপ্তির বর্ণণা অনুযায়ী উচ্চতা, বুকের মাপ এবং ওজন ঠিক আছে কিনা মিলিয়ে নেয়া হয়। বয়সের সঙ্গে উচ্চতা ও ওজনের সামঞ্জস্য আছে কিনা তাও দেখা হয়।
পরের ধাপে শারীরিক পরীক্ষা। এ ধাপে নির্ধারিত দূরত্বে দৌড়ানো বা লং জাম্প পরীক্ষা হতে পারে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ব্যায়ামের উপযোগী পোষাক সাথে রাখতে পারেন। লং জাম্প বা দৌড় পরীক্ষায় অন্য প্রার্থীদের চেয়ে ভালো করতে চাইলে আগেই নিজ উদ্যোগে এ ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে।
শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় টিকলে পরের পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র দেয়া হবে। লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক এবং মৌখিক পরীক্ষার পরীক্ষার সময় এ প্রবেশপত্র সাথে রাখতে হবে।
লিখিত পরীক্ষার ধরন
লিখিত পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। পূর্ণমান ৪০। পরীক্ষায় পাস করতে হলে কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ অন্তত ১৮ নম্বর পেতে হবে। যেহেতু শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি চাওয়া হয়েছে, সে উপযোগী প্রশ্নই করা হয়। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ইংরেজি, বাংলা এবং সাধারণ গণিত বই আয়ত্ত্বে থাকলে পরীক্ষায় ভালো করা যাবে। লিখিত পরীক্ষার কয়েকদিনের মধ্যেই উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। পাস করতে হলে এ ধাপেও কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। ভাইভা বোর্ড প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং সাধারণ জ্ঞান বা সাম্প্রতিক বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে। প্রার্থীর মনস্তাত্ত্বিক দক্ষতা যাচাইয়ের জন্যও প্রশ্ন করা হতে পারে। ভাইভা বোর্ডে মার্জিত এবং পদের সাথে উপযুক্ত পোষাক পরে উপস্থিত হওয়া ভালো। ভালোভাবে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারলে এবং নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব।
চূড়ান্ত নির্বাচন
লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাতালিকা করা হবে। নির্বাচিতদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে যোগ্য বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত পুনর্বাছাই কমিটি শারীরিক যোগ্যতা ও অন্যান্য তথ্য যাচাই করবে। চূড়ান্ত বাছাইয়ে যোগ্য প্রার্থীরা ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল হিসেবে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন।
জরুরী কাগজপত্র
শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষার দিন নিম্নোক্ত কাগজপত্র সাথে নিতে হবে-
* শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/ সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি।
* সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্রের মূলকপি।
* জেলার স্থায়ী বাসিন্দা/ জাতীয়তার প্রমাণস্বরূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদত্ত স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদপত্রের মূলকপি।
* প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি, প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে পিতা/ মাতার পরিচয়পত্রের মূলকপি।
* ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ছবি।
* পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা ‘১-২২১১-০০০০-২০৩১’নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি।
* কোটায় আবেদনকারীদের কোটা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র/ সনদপত্র।
* সরকারি/ আধা-সরকারি/ স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র।