দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও, পাথারিয়া ও দরগপাশা ইউনিয়নে পৃথক পৃথক ভাবে বাল্য বিবাহ পন্ড করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসনের সার্বক্ষনিক তৎপরতায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনগনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ পন্ড করা হয়।
স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও বীরগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের ইয়াস নুরের মেয়ে নাজমিন আক্তার(১৬) তার পরিবারের লোকজন একই গ্রামের ওয়াজির উদ্দিনের ছেলে বাদশা মিয়া(২২) এর সহিত বিয়ের দিন ঠিক হয়। উক্ত বাল্য বিয়ের খবরে আশপাশের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শক্রমে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুর কালামের উপস্থিতিতে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়।
অপর দিকে উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের পাইকাপন গ্রামের গোলাম আলীর ছেলে সাবলু মিয়া(১৭) তার পরিবারের লোকজন দিরাই উপজেলার নাছনা গ্রামের রফিজ মিয়ার মেয়ে সারমিনা বেগম(১৬) এর বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। বরের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় খবর পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইবাদত হোসেনের নির্দেশক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারমান মো. মনির উদ্দিন ও ইউপি সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে বরের পরিবারের লোকজনদেরকে তাহার বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বাল্য বিবাহ না দেয়ার নিদের্শন প্রদান করেন।
অন্য দিকে পাথারিয়া ইউনিয়নের গণিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ও আন্দাবাজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের মেয়ে মোছাঃ খাদিজা আক্তার(১৪)তার পরিবারের লোকজন একই এলাকার সাবেক মেম্বার মৃত আরজু মিয়া কাবুলীর ছেলে দবির মিয়া(২৩) এর সহিত বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। বাল্য বিবাহের সংবাদে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শক্রমে পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রশি আমিন ও গণিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বাল্য বিবাহ তাৎক্ষনিক বন্ধ রাখা হয়। বিকেলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইবাদত হোসেন সরেজমিনে পাথারিয়া ইউনিয়নের আন্দাবাজ গ্রামে গিয়ে মেয়ের পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাল্য বিবাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় উস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলনা ত্যৈইয়িবুর রহমান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী এম জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সহ সভাপতি এম এ কাসেম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের এএসআই ইকবাল হোসেন ভূইয়া, গণিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওঃ তদবীর আলম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।