• ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রামপুর

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬

কানাইঘাট  প্রতিনিধি :::::
সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের মুখে কানাইঘাট পৌরসভার রামপুর গ্রামের নদীর তীরবর্তী মানুষের বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় ইতিমধ্যে অসংখ্য বাড়ী ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে অনেকে ভিটা বাড়ী হারা হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। পৌরসভার ভিতরে অবস্থিত রামপুর গ্রামের অধিকাংশ বাড়ীঘর সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে বাড়ী ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সম্প্রতি নদী ভাঙ্গন আরো তীব্র আকার ধারণ করায় শতাধিক বসত বাড়ীতে ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেকের বাড়ীর অংশ প্রতিদিন সুরমার রাক্ষসী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে। ভিটাবাড়ী হারা গ্রামের লোকজন বার বার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আকুতি মিনতি করার পরও অদ্যবধি পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন রোধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জাহান জানান, গ্রামের মানুষের বাড়ীঘর নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রশাসন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরও তারা একটি বারও সরেজমিনে এসে গ্রামের সুরমা তীরের মানুষের হাহাকারের অবস্থা দেখেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙ্গন রোধে কানাইঘাটে কোটি কোটি টাকার কাজ করলেও সুরমা নদীর ভাঙ্গন থেকে রামপুর গ্রামকে রক্ষা করার জন্য কোন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন না। গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুঃখের শেষ নেই। দিন দিন আমাদের বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, অথচ এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি রামপুর গ্রামের নদী ভাঙ্গন সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে গ্রামবাসীকে আশ^স্থ করেন। গ্রামের ভিটবাড়ী হারা লোকজন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, রামপুর গ্রামকে নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এগিয়ে আসবেন।