স্টাফ রিপোটার :
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাঘাডহর গ্রামের প্রবাসী নুরুল হক (৪২) ও তার স্ত্রী সাফেদা আক্তার শাপলা (৩০) কে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে, কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাহারা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩য় তলায় ১১নং ওয়ার্ডের হী২ বেডে ও স্ত্রী শাপলা আক্তার ২য় তলার সিটবিহীন বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুর পুর ইউপির বাঘাডহর গ্রামের মৃত আলকাছ উদ্দিনের পুত্র নুরুল হক প্রায় ১৫/১৬ বছর যাবৎ দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটান। এমতাবস্থায় তিনি সম্প্রতি দেশে অবস্থান করিলে তাহার আপন ভাই দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য হিফজুর আহমদ, চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমদ তাহাকে পৈত্রিক সম্পত্তি পৃথক সহ বড় অংকের চাঁদা দাবী করে আসছিল। তিনি বিষয়টি ঈদের পরে মিমাংসার করার কথা বলেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঈদের পরের দিন বুধবার বিকেল অনুমান ৪টায় প্রবাসী নুরুল হক বাড়ির বাইরে গেলে হিফজুল মেম্বার, তোফায়েল আহমদ, দেলোয়ার হোসেনসহ ৫/৬জন সহস্ত্র ব্যক্তি অতর্কিতভাবে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী সাফেদা আক্তার শাপলাকে ধর্ষণ করে ও ৩ ভরি ওজনের গলার হার, ১ তোলা ওজনের কানের দুল ও নগদ ২২ হাজার ৫শ’ ৭০ টাকা লুটে নিয়ে যায়। সাফেদা আক্তারের সুর চিৎকার শুনে স্বামী নুরুল হক বাড়িতে আসিলে সমূহ বিবাদীগণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাহাকে মারাত্মক আহত করে এবং তার স্ত্রী সাফেদা আক্তারের ডান হাতে আঘাত করে হাতের হাড় ভেঙ্গে মারাত্মক আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিলে সন্ত্রাসীরা চলিয়া যায় এবং স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় চিকিৎসার জন্য প্রথমে বড়লেখা হাসপাতালে ও পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাহারা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রবাসী নুরুল হক বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।