• ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রয়ে গেছে ঈদের রেশ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার ::: ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে। তবে এখনো রয়ে গেছে ঈদের রেশ। বিশেষত সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখনো বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। দলবেঁধে পর্যটকেরা ভিড় করেছেন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। প্রকৃতি কন্যা হিসেবে পরিচিত জাফলং, পাথরের বিছানা বলে পরিচিত নয়নাভিরাম বিছনাকান্দি, পাহাড়-টিলার ঢেউ খেলানো চা-বাগান, নির্জন লালাখালের স্বচ্ছ নীল জলরাশি, পিয়াইন নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু অথবা পাহাড়ি ঝর্ণা পান্তুমাই- এসব স্থানে বৃহস্পতিবারও পর্যটকের উপচে পড়া ভীড় লেগে থাকতে দেখা যায়।
ঈদের পরদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এসে ভীড় করেছেন সিলেটে। আগামী শনিবার পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।
ঈদের আগেই পর্যটকরা হোটেল-মোটেলের সব রুম আগাম ভাড়া করে নিয়েছেন বলে জানালেন সিলেট হোটেল গেস্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এ টি এম শোয়েব আহমদ।
বিছনাকান্দিতে বেড়াতে আসা ঢাকার আজিমপুরের বাসিন্দা সানজিদা ইতি বলেন, “আকাশছোঁয়া সবুজ পাহাড়ের মাখামাখি, সাথে স্বচ্ছ পানির কলকাকলি, তপ্ত রোদে ঝর্ণার শীতল পানিতে গা ভাসিয়ে দারুণ লাগছে। এখানে এসে ঈদের আনন্দে যোগ হয়েছে বাড়তি মাত্রা।”
শহরতলির মালনীছড়া চা-বাগানে বগুড়া থেকে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান।
“পরিবার-পরিজন নিয়ে এবারই প্রথম সিলেটে। এই স্থানগুলো শুধু টিভিতেই দেখেছি। সময়-সুযোগের অভাবে আগে আসা হয়নি। এবার ঈদের ছুটিতে এসে ভালো লাগছে।”
দিনাজপুর থেকে ২০ জনের একদল তরুণ এসেছে জাফলংয়ে। তাদের একজন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “পাথরের বুক চিরে নেমে আসা পানির স্রোতধারা আমাদের বিমোহিত করেছে। সিলেটের সৌন্দর্য যেন রংধনুর সাত রঙের মতো। সবুজের সমারোহে ঢেকে থাকা একেকটা জায়গা একেক রকম আনন্দ দেয়।”
এছাড়া বিকেল হলে ভিড় বাড়ছে শিশুপার্কেও। স্থানীয় বাসিন্দারাই শিশুদের নিয়ে পার্কে ভিড় করছেন।  ওসমানী শিশু উদ্যান, অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড, জাকারিয়া সিটি, ড্রিমল্যান্ড পার্কে দুপুর থেকেই দেখা গেছে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের ভিড়।
ওসমানী শিশু উদ্যানে আল আমিন এসেছেন শিশুদের নিয়ে। তিনি বলেন, “শিশুদের ঈদের আনন্দে রাঙিয়ে তুলতেই এখানে আসা। শিশুরা বিভিন্ন রাইডে চড়ে খুব খুশি হচ্ছে।”
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সব বিনোদন কেন্দ্রে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, সব স্পটেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটন পুলিশ পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিচ্ছে।