• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

খুন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬

বড়লেখা প্রতিনিধি :::::
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রামে ঈদের দিবাগত রাতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মায়ারুন নেছা (৬৬) নামের এক প্রবাসী  বৃদ্ধা নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের বাংলাদেশী ফাতির আলীর স্ত্রী। নিহতের পুত্রবধূ ফাহিমা বেগম (৩০) দাবি করেন ডাকাতি করতে এসে ডাকাতরা তার শাশুড়িকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেছে। কিন্তু পুত্রবধূর অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশ সন্দেহজনক হিসেবে তাকে আটক করেছে। বুধবার সকালে পুলিশ বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চান্দগ্রাম বাজার সংলগ্ন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ফাতির আলীর গ্রামের বাড়িটি দ্বিতীয় ছেলের চতুর্থ স্ত্রী ফাহিমা বেগম দেখাশুনা করেন। দুই বছর পূর্বে ফাহিমার সাথে ফাতির আলীর ছেলে মকসুদুল আলম সিপনের বিয়ে হয়। সিপন লন্ডনে থাকলেও তার প্রথম পক্ষের দুই ছেলে ও চতুর্থ স্ত্রী বাড়িতে থাকতেন। গত ২৭ মার্চ সিপনের মা মায়ারুন নেছা লন্ডন থেকে দেশে আসেন। পুত্রবধূ ফাহিমা ও নাতিদের সাথে তিনি বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঈদের দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটা থেকে পুত্রবধূ বিভিন্ন স্থানে একেক রকম তথ্য জানিয়ে ফোন করেন। কোন জায়গায় তার শাশুড়ি স্ট্রোক করেছেন, কোন জায়গায় ডাকাতদের হামলায় মারা গেছেন আবার কোথাও শাশুড়ির শরীর খারাপ জানিয়ে ফোন করেন। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে ভোরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় পুলিশ ডাকাতির ও মালামাল লুটের কোন কোন আলামত পায়নি। পুত্রবধূর ভাষ্যমতে ২জন ডাকাত কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশে করে থাকে কচটেপ দিয়ে তার মুখ পেঁচিয়ে রাখে ও শাশুড়িকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। কিন্তু কলাপসিবল গেট ও দরজা ভাঙার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এ সময় পুত্রবধূর অসংলগ্ন কথাবার্তায় ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা মনে করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ সন্দেহজনক হিসেবে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  শহীদুর রহমান বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুত্রবধূকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে  বলেন ” , ডাকাতির ঘটনার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্বে কিংবা অন্যকোন কারণে পরিকল্পিতভাবে মায়ারুন নেছাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।”